অনুমতি ছাড়া অচেনা কারও দিকে তাকালেই ঘাড় ধাক্কা, নাইট ক্লাবের নয়া নিয়মে হইচই

অনুমতি ছাড়া অচেনা কারও দিকে তাকালেই ঘাড় ধাক্কা, নাইট ক্লাবের নয়া নিয়মে হইচই

ক্যানবেরা: দিনের শেষে রঙিন জীবনের নেশায় মত্ত হওয়ার ঠিকানা নাইট ক্লাব৷ মদের গ্লাস হাতে উদ্দাম নাচা-গানা৷ এক বাঁধন হারা উচ্ছ্বাস৷ তবে এবার থেকে নৈশ ক্লাবে যেতে হলে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম৷ যতই মদের নেশায় বুঁদ হও না কেন, কারও দিকে চোখ তুলে তাকানো যাবে না৷ তাকালেই ঘাড় ধাক্কা৷ কোনও অপরিচিতকে দেখতে হলে নিতে হবে তাঁর অনুমতি৷ নিয়ম ভাঙলেই ব্যবস্থা নেমে ক্লাব কর্তৃপক্ষ৷ শুনতে অবাক লাগলেও নিজেদের নিয়মে এমনই বদল আনল অস্ট্রেলিয়ার একটি নাইট ক্লাব৷ 

আরও পড়ুন- তোমরা সর্বত্র, ভারত যাও! বলেই ঘুসি, টেক্সাসে চরম বর্ণবিদ্বেষের শিকার ভারতীয় মহিলারা

সম্প্রতি নিজেদের নিয়মাবলীতে বেশকিছু বদল এনেছে ক্লাব ৭৭৷ ওই নাইটক্লাবের তরফে জানানো হয়, ক্লাবেব ভিতরে অনুমতি ছাড়া কেউ যদি কারও দিকে তাকায়, তা হলে অবলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এমনকী ওই ব্যক্তিকে ক্লাব থেকে বার করে দিতেও কুন্ঠা করা হবে না৷ এর পিছনে যুক্তিও রয়েছে৷ কারণ, নাইট ক্লাবের আড়ালে বিভিন্ন সময় চলে নানা অপরাধমূলক কাজ৷ অপরিচিতের হাতে হেনস্থার ঘটনাও নেহাত কম নয়৷ মাঝে মধ্যে ভিড়ে ঠাসা নাইট ক্লাবের হালকা আলোয় অচেনা চোখের দৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় বহু তরুণীকে৷ নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় থানা পুলিশও হয়েছে। এসব দিকগুলি বিবেচনা করেই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিডনির ওই নাইটক্লাব৷ তাদের ইনস্টাগ্রাম পেজে নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করে পোস্টও করা হয়েছে৷ 

ক্লাব ৭৭-এর ওই দীর্ঘ পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের যেমন কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তেমনই কিছু দায়বদ্ধতাও রয়েছে। যাঁরা ক্লাবের নতুন অতিথি তাঁদের কিছু বিষয় জানা দরকার৷ যা মানতেই হয়। বেশ কিছু আচরণ ডান্স ফ্লোরে কাম্য নয়।’  তারা আরও জানিয়েছে, দু’জন অচেনা ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হওয়া কিংবা তাঁদের মধ্যে কথোপকথনের ক্ষেত্রে তারা সবসময়ই উৎসাহ দেয়। কিন্তু তা অবশ্যই সম্মতিক্রমে শুরু হওয়া উচিত বলে মনে করে ক্লাব ৭৭। 

এই নাইট ক্লাবের পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘দূর থেকে হয়তো কেউ একজনকে ক্রমাগত দেখে চলেছে৷ হতে পারে যাঁকে দেখছেন, তিনি সেই অ্যাটেনশনটা পছন্দ করছেন না। সে ক্ষেত্রে এই অ্যাটেনশন আমরা হেনস্থা বলেই মনে করব। এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট পেলে অবিলম্বে অভিযুক্তকে ক্লাব থেকে বার করে দিতেও বাধ্য থাকব। পুলিশও ডাকা হতে পারে৷ আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, সকলে যেন নাইটক্লাবে এসে সুরক্ষিত বোধ করেন।’