নয়াদিল্লি: থালির দামের তুলনায় একজন শ্রমিকের একদিনের মঞ্জুরী বিগত সময়ে যথেষ্ঠ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৬-২০০৭ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে নিরামিষ থালির ক্রয় ক্ষমতা ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আমিষ থালির ক্রয় ক্ষমতা ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে৷
সারা দেশে একজন সাধারণ মানুষ এক থালি থাবারের জন্য কত অর্থ ব্যয় করে থাকেন? সে বিষয় ‘থালিনমিক্স: ভারতে এক প্লেট খাবারের অর্থনীতি’তে ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷ ভারতে খাদ্য তালিকাগত নীতি নির্দেশিকা মেনে থালির দাম নির্ধারণ করা হয়৷ এই দাম নির্ধারণের জন্য ২০০৬ এর এপ্রিল থেকে ২০১৯এর অক্টোবর পর্যন্ত ২৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শিল্পাঞ্চলে কর্মরত ৮০ শতাংশ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সূচক বিষয়ে সমীক্ষা কাজে লাগানো হয়েছে৷
এই সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, সারা ভারতে ও উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম চারটি অঞ্চলে ২০১৯এ মূল্য বৃদ্ধি ঘটলেও ২০১৫-২০১৬ থেকে নিরামিষ থালির দাম ক্রমশ কমেছে৷ এর ফলস্বরূপ ৫ জন সদস্যের পরিবার গড়ে দিনে দু’বার করে নিরামিষ থালি খাবার খেয়েছেন৷ এতে প্রতি বছর ১০ হাজার ৮৮৭ টাকা সাশ্রয় ঘটেছে৷ সেখানে এক নিরামিষাশীর পরিবার বছরে গড়ে ১১ হাজার ৭৮৭ টাকা সাশ্রয় করেছেন৷