প্রমাণ লোপাট? নির্যাতিতা চিকিৎসকের শরীরের চাদরের রংবদল কী ভাবে? মিলল বড় ‘ক্লু’

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই উঠেছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ৷ প্রমাণ লোপাটের দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা৷ সেদিন যে প্রমাণ লোপাটের…

RG kar suspect

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে প্রথম থেকেই উঠেছে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ৷ প্রমাণ লোপাটের দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা থেকে শুরু করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা৷ সেদিন যে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলেছিল, সেই প্রমাণ সামনে এসেছে৷ বদলে গিয়েছিল নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের দেহের অবস্থান৷ এমনকী পাল্টে গিয়েছিল চাদরের রং৷ আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান ও জুনিয়র চিকিৎসকদের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে এক কঠিন সত্য৷

আরজি করের জুনিয়ার ডাক্তারদের বয়ান অনুযায়ী, প্রথম যখন তাঁরা ওই পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহ দেখেছিলেন, তখন তাঁর দেহ পড়েছিল নীল রঙের ম্যাট্রেসের ওপর৷ শরীরে ছিল নীল রঙের চাদর। চার চলার ওই সেমিনার রুম বা অকুস্থলের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানেও দেখা যায় নির্যাতিতার শরীরের উপর নীল চাদর জড়ানো। অথচ যখন নির্যাতিতার দেহ তাঁর বাবা-মাকে দেখতে দেওয়া হল, তখন বদলে গিয়েছিল চাদরের রঙ!

মৃত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের মেয়েক গায়ে ছিল সবুজ রং-এর চাদর। শরীরের কোনও অংশ বেডের বাইরে ছিল না। পা দুটো ছিল ছড়ানো৷ কিন্তু, জুনিয়র ডাক্তাররা যে ছবি পোস্ট করেছিলেন, তাতে দেখা যায় ওই তরুণী চিকিৎসকের একটা পা ম্যাট্রেসের বাইরে ডায়াসের ওপর রয়েছে। তাঁর বাবার দাবি, ‘‘নিশ্চয়ই আমার মেয়ের দেহ কেউ সরিয়েছে৷’’

হাসপাতাল থেকে ফোন পাওয়ার পর বেলা ১২.১০ নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। কিন্তু মেয়েকে দেখতে দেওয়া হয় দুপুর সাড়ে তিনটেয়। তাহলে কি এই সময়ের মধ্যেই চাদর বদল করা হল? ঘর বন্ধ করে কি প্রমাণ লোপাট করল পুলিশ?