cpm
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএম তথা বামেদের জোট হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে শেষ মুহূর্তে যদি কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট হয় তাহলে অন্য কথা। তাই সব সম্ভাবনা খোলা রেখেই সিপিএম তথা বামেরা লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক পরিকল্পনা মোটামুটি করে ফেলেছে। সেখানে ৪২টি আসন তো দূরের কথা, তার অর্ধেক আসনকেও সেভাবে টার্গেট করার কথা ভাবছে না সিপিএম।
মূলত বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু আসনকে চিহ্নিত করে এগোতে চাইছে সিপিএম। আলিমুদ্দিন সূত্রে এমন খবরই পাওয়া গিয়েছে। সেখানে কোন কোন আসন রয়েছে? বাম শরিকদের ধরে সম্ভাব্য আসনগুলি হল মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, আইএসএফ লড়ছে ধরে তাদের সমর্থন করে ডায়মন্ড হারবার, জলপাইগুড়ি, যাদবপুর, বীরভূম, বর্ধমান-দুর্গাপুর, মালদা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, কৃষ্ণনগর। এছাড়া আরও কয়েকটি আসনকে টার্গেট করে এগোতে চাইছে সিপিএম।
ঘটনা হল কংগ্রেসের তুলনায় রাজ্যে সিপিএমের ভোট শতাংশের নিরিখে বেশি হলেও সেগুলি রাজ্যের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। নির্দিষ্ট একটি লোকসভা কেন্দ্রে যদি অন্তত পক্ষে ৩০ শতাংশের আশপাশে ভোট থাকে তবে সেখানে জয়ের আশা করা যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে এমন একটি কেন্দ্রও নেই যেখানে সিপিএমের ভোট ৩০ শতাংশের কাছাকাছি আছে। তাই ৪২টি আসন টার্গেট করে ঝাঁপালে লাভ হবে না বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন।
সেই জায়গায় কংগ্রেস কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে। মুর্শিদাবাদ, রায়গঞ্জ, বহরমপুর, মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রের মতো জায়গায় কংগ্রেসের ভোট শতাংশ ও সংগঠন মোটের উপর সন্তোষজনক হওয়ায় সেখান থেকে একটি দুটি আসনে জেতার আশা করতেই পারে তারা। কিন্তু সিপিএমের ক্ষেত্রে সেই সুবিধাটা নেই। তবু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে সিপিএম প্রার্থী দিয়ে ভোট পাওয়ার আশা করছে। আর সেখানে যদি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয় তাহলে সিপিএম জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে বলে আলিমুদ্দিন মনে করছে।
ঘটনা হল সদ্য ব্রিগেড সমাবেশে প্রচুর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে সিপিএমকে। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে সিপিএম মোটের উপর সন্তোষজনক ফল করেছে। তাই বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে লোকসভা নির্বাচনে রীতিমতো আসন ধরে ধরে, এখানে বামেদের কতটা ভোট রয়েছে সেই পরিসংখ্যান দেখে সেগুলিকে টার্গেট করার কাজ শুরু করে দিয়েছে আলিমুদ্দিন।