কলকাতা: আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিল স্বাস্থ্য ভবন৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নয়া অধ্যক্ষ-সহ চার প্রশাসনিক মাথাকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, আন্দোলনরত ডাক্তার পড়ুয়াদের দাবি ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সার্কুলার প্রত্যাহার করা হোক৷ সেই দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ, এখনও কিছু দাবি রয়েছে তাঁদের।
সন্দীপ ঘোষ ইস্তফা দেওয়ার পর তাঁর জায়গায় সুহৃতা পালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হল। স্বাস্থ্যদপ্তরের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার আরজি কর হাসপাতালের নতুন অধ্যক্ষ হলেন মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বারাসত গর্ভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন।
বুধবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে জমায়েত করেন আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। সেখান থেকে মিছিল করে স্বাস্থ্য ভবনে গিয়ে নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। বৈঠকের পর অবশ্য তাঁরা জানিয়েছিলেন তাঁরা ‘হতাশ’৷ তবে পড়ুয়া চিকিৎসকদের দাবি মেনে নেওয়া হয়৷ গতকাল রাতেই আরজি করের নতুন অধ্যক্ষ, নতুন সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার এবং চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়৷