কলকাতা: রাত দখলের রাতে ধুন্ধুমার আরজি কর।
জামায়েতের সময় এদিন আচমকাই প্রচুর মানুষ আরজি কর হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে। ভিতর থেকে আন্দোলনকারীরা বহিরাগত আন্দোলনকারীদের ভিতরে ঢুকতে বারণ করেন। কিন্তু এক দল যুবক-যুবতী পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে, মূল গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। এরপরই বহিরাগতরা ভাঙচুর চালায় পড়ুয়াদের ধরনা মঞ্চে। এমারজেন্সির গেটও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে বহিরাগতরা। হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, তাণ্ডব চালানো হয় জরুরি বিভাগে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, বহিরাগতদের হাতে লাঠি, রড, পাথর ছিল। পাথর ছুড়ে একাধিক ওয়ার্ডের কাচ ভাঙা হয়। ভাঙা হয় পুলিশের গাড়িও। সেই সময় পুলিশ কার্যত প্রসূতি বিভাগে আশ্রয় নেয়। এরপর দুষ্কৃতীরা হাসপাতাল ছাড়তেই পুলিশ বেরিয়ে আসে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। র্যাফ নামানো হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকা ছাড়া করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। হামলাকারীদের ছোড়া ইটে পুলিশের রক্ত ঝড়েছে। এই বহিরাগত কারা, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু হাসপাতালের একাংশের অভিযোগ, হঠাৎ হামলার ঘটনায় কেন দ্রুত পদক্ষেপ করল না পুলিশ? এত ক্ষণ ধরে কী ভাবে তাণ্ডব চালালেন ‘বহিরাগতেরা’?