কলকাতা: ঘটনার দিন রাত ১১টা নাগাদ ফোন করেছিলেন। তবে তখন সে ভাবে কথা হয়নি। ওই মহিলা চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘ব্যস্ত আছি। পরে ফোন করছি।’ পরের দিন সকালে যখন তাঁর হবুবর ফোন করেন, তখনও তোলেননি। তার পর কয়েকটা এসএমএসও করেছিলেন। কোনও উত্তর মেলেনি। তখনও অন্ধকারে ওই মহিলা চিকিৎসকের বন্ধু। পরে জানতে পারেন সবটা।
তিনি বলেছেন, “আমাকে মাঝেমধ্যে বলত, নাইট করতে ভালো লাগছে না। তবে তার কারণ কখনও ব্যাখ্যা করেনি। তাতে কোনও রহস্য ছিল কি না, আমি বলতে পারব না। অথচ পড়াশোনার বিষয়ে কী করবে, না করবে, তা নিয়ে বেশ গোছানোই ছিল। মোবাইলে নিয়মিত পড়াশোনার ভিডিয়ো দেখত।” কিন্তু আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় মুখ খুললেন নিহত চিকিৎসকের হবু বর। তিনি জানালেন, দুজনেরই ডাক্তার হওয়ার প্রবল ইচ্ছে। ও আমাকে সব সময় বলত, তুমিও বড় ডাক্তার হবে। কিন্তু, আমাদের সেই স্বপ্নপূরণ আর হলো না। ঘটনার দিন রাত ১১টা নাগাদ ফোন করেছিলাম। তবে ওর সঙ্গে সে ভাবে কথা হয়নি। আমাকে মাঝেমধ্যে বলত, নাইট করতে ভালো লাগছে না।কেন রাতের ডিউটি ভালো লাগছে না, শেষ পর্যন্ত না বলেই চলে গেল।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় মুখ খুললেন নিহত চিকিৎসকের হবু বর। “আমাদের গল্পগুলো অল্প সময় ঘর পাতালো তারপর পথ হারালো তোমায় আমায় নিয়ে। আমার মোবাইল ফোনের কলার টিউন। সেটা ওর খুব পছন্দ ছিল। আর এটাই ছিল দুজনের জীবনের গান। কিছুদিনের মধ্যে বিয়ে হতো আমাদের। তাই আগে নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়েছিলাম। আমার হবু স্ত্রীর খুব ইচ্ছে ছিল পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি, ডিএম হাসিল করা। পছন্দের সাবজেক্ট ছিল, ক্রিটিক্যাল কেয়ার অথবা পালমোনারি মেডিসিন। দুজনেরই ডাক্তার হওয়ার প্রবল ইচ্ছে। ও আমাকে সব সময় বলত, তুমিও বড় ডাক্তার হবে। কিন্তু, আমাদের সেই স্বপ্নপূরণ আর হলো না।”