কলকাতা পুলিশের হাত থেকে আরজিকর মামলা সিবিআই এর হাতে, নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা: আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষন খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। প্রথমেই কেন খুনের মামলার বদলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু? বেসিক্যালি কলকাতা পুলিশের কেস আইডিতে সন্তুষ্টই…

Picsart 24 08 13 16 47 49 434

কলকাতা: আরজিকরে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষন খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের।

প্রথমেই কেন খুনের মামলার বদলে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু? বেসিক্যালি কলকাতা পুলিশের কেস আইডিতে সন্তুষ্টই নয় হাইকোর্ট, তাই আরজিকর কাণ্ডে আদালতের পর্যবেক্ষণে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। পাঁচদিন পরেও তদন্তে এখনো কোন অগ্রগতি নেই কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে সিবিআইকে কেস ডায়েরি হস্তান্তরের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহ পরে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলবের নির্দেশ প্রধান বিচারপতির।

একইসঙ্গে অধ্যক্ষ বা হাসপাতাল সুপার কেন কোন অভিযোগ দায়ের করলেন না এটাও তো বিস্ময়ের। কেন প্রথম থেকে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা? এইসব প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পুলিশ হাসপাতালের ভূমিকা রীতিমতো অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। এমনকি সন্দীপ ঘোষ কে অধ্যক্ষ পদে বহাল নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের। জানানো হলো, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সন্দীপ ঘোষকে কাজে বহাল নয়। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের দায়িত্ব নিতে পারবেন না সন্দীপ ঘোষ।

তবে, এর পাশাপাশি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফিরতেও আবেদন হাইকোর্টের। এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান সিবিআই এর হাতে তদন্তভার অনেক ক্ষেত্রেই গেছে। সিবিআই তদন্তভার নেওয়া মানেই প্রবলেম সল্ভ নয়। তাই তারা একইভাবে কর্ম বিরতি চালিয়ে যাবেন কিনা সেটা সময়ের সাথে সাথে পরিষ্কার হবে। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ধর্ষক ও খুনিদের রক্ষকদের মাথা পর্যন্ত পৌঁছক সিবিআই।সিবিআই এর দীর্ঘসূত্রিতা দেখলে আদালত হস্তক্ষেপ করবে বলেও জানান শুভেন্দু। জানিয়ে রাখি, তদন্তের জন্য রবিবার পর্যন্ত পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই সিবিআই এর হাতে কেস হস্তান্তর করল আদালত।