নয়াদিল্লি: করোনা সতর্কতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন পরিস্থিতি জারি হয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যবসা বাণিজ্যের অবস্থাও বেহাল। তবে অনলাইন মাধ্যমগুলির ক্ষেত্রে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হলেও তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। মার্কিন সংস্থা ফেসবুক, টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলি যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে ধুঁকছে, সেখানে টিকটক, বিলিবিলি, লিঝির মতো চীনা অ্যাপগুলি এই পরিস্থিতিতেও লাভের মুখ দেখছে, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্ল্যাটফর্ম, যেমন টুইটার, ফেসবুকের উদ্দেশ্যে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল যে এই মহামারী পরিস্থিতি তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলবে। বিশেষজ্ঞরা এই তালিকায় রেখেছিল গুগলকেও। নাসদাক তালিকাভুক্ত সংস্থার তরফে মার্কো লাই বলেন, 'মার্কিন সংস্থাগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপন-নির্ভর বিজনেস মডেলের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল। টুইটার, ফেসবুককেই দেখুন, কিংবা ইউটিউব, গুগলের মতো সংস্থাগুলিরও আয়ের উৎস বিজ্ঞাপন। এদিকে চীনের দৌয়িন সংস্থাটিকেই দেখুন (টিকটকের চীনা ভার্সন)।' লাইয়ের কথায় চীনের অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি বৈচিত্রপূর্ণ হওয়ায় করোনা পরিস্থিতিতেও লাভের মুখ দেখবে তাদের ব্যবসা। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন-নির্ভর সংস্থা এই বাজারে টিকতে পারবে না, এই বিষয়েই সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
টিকটক, বিলিবিলি, লিঝির মতো চীনা অ্যাপগুলি শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের স্ট্রিমিংয়ের ওপর ভরসা করে নেই। নিত্যনতুন ধারণার প্রয়োগ করছে তারা। টিকটক নির্মাণকারী সংস্থা বাইটড্যান্সও তাদের ব্যবসা শুরু করেছিল বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করে। ধীরে ধীরে নতুন নতুন ফিচার সংযোজন করেছে তারা। ভার্চুয়াল গিফট বক্স, শপিং ব্যাগের মতো ফিচার এসেছে তাদের অ্যাপ্লিকেশনে। গবেষকরা নমুনা হিসেবে অন্য একটি চীনা অ্যাপ লিঝির নাম উল্লেখ করেছেন। চীনা পডকাস্টিং অ্যাপ লিঝি বাজারে এনেছিল ভার্চুয়াল গিফ্ট অপশন। সেখানে শ্রোতাদের কিনতে হতো ভার্চুয়াল গিফ্ট। পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে ওই সব গিফ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে লিঝি যা কমিশন পায়, সেটা সংস্থার মোট রেভিনিউর প্রায় ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে বিলিবিলি নামের চীনা অনলাইন স্ট্রিমিং অ্যাপটিও বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল না থেকে গেমিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। সময়ের উপযোগী বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছে বলেই চীনা ওই সংস্থাগুলি লকডাউনের পরিস্থিতিতেও একচেটিয়া ব্যবসা করছে।