মহামারীর সুযোগে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি চিনের, জেরবার গোটা বিশ্ব

মহামারীর সুযোগে চড়া দামে মাস্ক বিক্রি চিনের, জেরবার গোটা বিশ্ব

imagesmissing

বেজিং: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের কথা আগেই জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মাস্কের প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কালোবাজারির খবরও প্রকাশ্যে এসেছিল। খোদ এই রাজ্যেই দেখা গিয়েছিল মাস্কের চড়া দাম। এবার প্রকাশ্যে এল মাস্কের বড়সড় কালোবাজারির খবর। প্রকৃত দামের তিন চার গুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে করোনা রোখার এই অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যটি। সেই অভিযোগ উঠেছে এবার চিনের বিরুদ্ধে। এমনকী, সংবাদ সংস্থা দ্য সান দাবি করেছে, গোটা বিশ্বে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে প্রায় ২০০ কোটি মাস্ক মজুত করেছিল তারা।

গোটা বিশ্ব লড়ছে করোনার বিরুদ্ধে। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ক্রমেই। মৃত্যুও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এই পরিস্থিতিতে যখন মাস্কের প্রয়োজন, তখন চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠল চিনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ মাস্ক অর্ডার দিয়েছে চিনকে। গত মঙ্গলবার ২০ লক্ষ মাস্ক পৌঁছেছে সেই দেশে। বাকি মাস্ক এখনও পর্যন্ত পাঠায়নি চিন। অথচ ফ্রান্সের গ্রান্ড ইস্ট রাজ্যের আঞ্চলিক প্রধান জ্যঁ রোটনার আরটিএল রেডিও স্টেশনে অভিযোগ করেছেন, 'আমরা যে দামে পেতাম, আমেরিকা তার তিন চার গুন বেশি দাম দিয়ে চিন থেকে মাস্ক আমদানি করছে।'

করোনার সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে শেষ মুহূর্তে চড়া দামে কেন রফতানি করছে, তা নিয়েও চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ফ্রান্সের এক আধিকারিক বলেন, 'এটা বড় জটিল বিষয়। আমরা প্রতি মুহূর্তে লড়াই করছি।' দরকারের সময় চিনের এই আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোটনার। সূত্রের খবর, চিনের একটি সংস্থা, যারা অস্ট্রেলিয়ায় ব্যবসা চালায়, সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে তারা মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করেছে। এছাড়াও ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২৪৬ কোটি মাস্ক, প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট ও অন্যান্য কিট আমদানি করেছে চিন, এমনও দাবি করেছে সংবাদসংস্থাটি।

কোভিড ১৯ সংক্রমণের জেরে বেহাল পরিস্থিতি ফ্রান্সের। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ  থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজারের বেশি জন। তবে মৃত্যু সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *