১৫টি শিল্প চালু হওয়ার ইঙ্গিত বাণিজ্য মন্ত্রকের, প্রয়োজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সম্মতি

১৫টি শিল্প চালু হওয়ার ইঙ্গিত বাণিজ্য মন্ত্রকের, প্রয়োজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সম্মতি

imagesmissing

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের জেরে সারা দেশে লকডাউন৷  বিশেষজ্ঞদের মতে এটাই একটা উপায় যার জেরে করোনা সংক্রমণ রোধ করা যাবে৷ অনেকে আবার বলছেন, যতদিন না ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে, ততদিন সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন করতে হবে৷ এমনিতেই দেশে অর্থনীতিতে ধস নেমেছে৷ বিভিন্ন শিল্প বিপন্ন হয়ে পড়েছে৷ যতদিন ভ্যাকসিন না বের হয়, ততদিন শিল্প বন্ধ রাখা সম্ভব নয়৷ তাইবনিক মহল ১৫টি শিল্প চালু হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে৷ তবে এই শিল্প সম্পর্কিত যান চলাচলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সম্মতি পাওয়া গেলেই ফের চালু হতে পারে ১৫টি শিল্প৷

বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে প্রাথমিক ভাবে ভারী বৈদ্যুতিন এবং সীমিত ক্রিয়াকলাপ সহ টেলিকম সেক্টর নতুন করে খোলার কথা জানানো হয়েছে। তিন শিফটে সিমেন্ট প্লান্ট গুলিতে কাজ শুরু ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আবার সচল হতে পারে টেক্সটাইল, অটোমোবাইল, সহ বৈদ্যুতিন শিল্পও। সরকারের বিধিবদ্ধ সতর্কতা মেনে চালু হতে পারে আবাসন ও নির্মাণ ক্ষেত্রের কাজও। পণ্য পরিবহন, রিপেয়ার সার্ভিস,ফলমূল ও শাকসবজির ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থা বজা রাখার কথা ভাবা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।

লকডাউনের বাকি সময়টায় কিছু ক্ষেত্রে উত্পাছদন চালু করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পরামর্শ দিল শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক। লকডাউনে সতর্কতা বজায় রেখেই যাতে উৎপাদন করা যায় সে ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়েছে। বাণিজ্য সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে আবেদন’ জানিয়েছেন, এই সময়ে মানুষের হাতে জীবনযাপনের জন্য ন্যূনতম অর্থ দরকার। তা সুনিশ্চিত করতে কিছু ক্ষেত্রের উৎপাদনে অনুমতি দিক সরকার। এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণরা নিজেদের দফতরে কাজে যোগ দিয়েছেন।

গতকালই জানা গিয়েছিল, গোটা দেশকে লাল, কমলা, সবুজ- তিন রঙের জোনে ভাগ করেছে সরকার। সবুজ জোনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল, যেখানে করোনার প্রকোপ একেবারেই নেই সেই এলাকায় ছোট ও মাঝারি শিল্পে উত্পা দনে ছাড় দেওয়া হবে। তবে সবটাই করতে হবে সোশ্যাল ডিস্টেনসিংয়ের শর্ত মেনে। পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্পা দন ব্যবস্থা থমকে যাওয়ার ফলে অর্থনীতিতে ব্যাপক অধোগতি এসেছে। বিভিন্ন রাজ্যের বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি অল্প হলেও উত্পা দন শুরু করতে চাইছে। একদিকে ব্যবসায়ীরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে অন্যদিকে শ্রমিকরাও মজুরি পাচ্ছেন না। গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়।’ অর্থাত্‍ জীবন না থাকলে বাকি সবকিছু মূল্যহীন। তাই আগে জীবন বাঁচানোর কাজ করতে হবে। কিন্ত শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকের এই আর্জিতে কেন্দ্র.অনুমোদন দেয় নাকি এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *