নয়াদিল্লি: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি৷ দু’দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে৷ আর তার জেরে লাফিয়ে বাড়ছে বাণিজ্য ক্ষতি৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার বাণিজ্যনীতি বদল করল ভারত৷
করোনা আবহে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে আমূল বদল করল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রক৷ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া আর কোনও ভাবেই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিদেশি বিনিয়োগ আনতে পারবে না৷ এফডিআই সুবিধা আপাতত নেওয়া যাবে৷ কোন সংস্থা করে বিনিয়োগ করতে পারবেনা ভারত সরকারে অনুমোদন প্রয়োজন৷ সীমান্ত লাগোয়া কোন সংস্থা চাইলে বিনিয়োগ করতে চাইলে তা পারবে না৷ সবার আগে ওই সংস্থাকে ভারত সরকারের থেকে অনুমতি নিতে হবে৷ করতে হবে আবেদন৷ আবেদন খতিয়ে দেখার পর মিলবে ছাড়পত্র৷
বিশ্বজুড়ে অর্থিক মন্দার মধ্যেই সম্প্রতি এইচডিএফসি ব্যাংকের অংশীদারিত্ব বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিয়েছে চিনা ব্যাংক৷ এরপরই এবার কড়া পদক্ষেপ করল ভারত সরকার৷ পর্যবেক্ষক মহলের আশঙ্কা, করোনা পরিস্থির জেরে আর্থিক মন্দার সুযোগ নিয়ে ভারতের বাজারে ঘুরপথে টাকা লাগিয়ে প্রভাব খাটাতে পারে চিন৷ সেই ব্যবস্থা যাতে রোখা যায়, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷
গোটা বিশ্ব করোনা সংক্রমণে জেরবার। এরই মধ্যে হাউসিং ডেভেলপমেন্ট ফিন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেডের (এইচডিএফসি) প্রায় ১.৭৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনল চীনের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। করোনা মহামারীর পরিস্থিতিতে চীনের এমন পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশেষ অর্থবহ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। এইচডিএফসি লিমিটেডের তরফে এই বিবৃতি প্রকাশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধীও।
গত ২০১৯ সালেই শেয়ার কিনেছিল পিপলস ব্যাঙ্ক অফ চায়না, এমনই জানিয়েছেন এইচডিএফসি-র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও কেকি মিস্ত্রি। তাঁর কথায়, গত বছরের মার্চ মাস থেকেই এইচডিএফসি-র ০.৮ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল চীনের ওই ব্যাঙ্কটি। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১.১ শতাংশ। সংবাদসূত্রের দাবি, সেই শেয়ার মূল্য ১ কোটি ৭৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৯০৯ টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই এই শেয়ার কিনেছে চিনের শীর্ষ ব্যাঙ্কটি, এমনই জানা গেছে সংবাদসূত্রে। এমনিতেই জানুয়ারি মাসের পর থেকে স্টকের ক্ষেত্রে এইচডিএফসি লিমিটেডের বেহাল অবস্থা৷