যুদ্ধে পাঠানোর সিদ্ধান্ত পুতিনের! স্বামীদের ‘বাঁচাতে’ তাঁদের হাত-পা ভাঙতে মরিয়া রুশ-পত্নীরা

যুদ্ধে পাঠানোর সিদ্ধান্ত পুতিনের! স্বামীদের ‘বাঁচাতে’ তাঁদের হাত-পা ভাঙতে মরিয়া রুশ-পত্নীরা

মস্কো: চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া৷ সেই থেকে জ্বলছে যুদ্ধের আগুন৷ বিশাল শক্তি নিয়েও ইউক্রেনের প্রতিরোধের সামনে অনেকটাই পিছু হঠেছে পুতিন বাহিনী৷ এবার রুশ নাগরিকদের একাংশকে পাঠানো হবে ইউক্রেনে৷ সম্প্রতি দেশবাসীকে চমকে দিয়ে এমনই ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশ আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রুশ পুরুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়ক৷ বিমানবন্দরগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। পাছে পুতিন যুদ্ধে পাঠান, সেই ভয়ে স্বামীদের হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন রুশ মহিলারা।

আরও পড়ুন- আদৌ কি গৃহবন্দি জিনপিং? নাকি তৃতীয়বার মসনদে বসার অপেক্ষায়?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল রাশিয়ার আমজমতা৷ এর পর এই প্রথম দেশবাসীর একাংশকে যুদ্ধে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল৷ জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে তিন লক্ষ রুশ নাগরিককে পাঠাতে চায় পুতিন সরকার। প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই দেশ জুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ভয়ে কেউ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন। কারও আবার পাল্টা পরামর্শ, রুশ মন্ত্রীদের যুদ্ধে পাঠানো হোক৷ তবে এই সিদ্ধান্তে বাড়তে শুরু করেছে পুতিন-বিরোধী ক্ষোভ৷ 

rush

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট পুতিন ঘোষণা করেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার জন্য রুশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অথচ শারীরিক ভাবে সক্ষম ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের ফের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি রাশিয়ার সংরক্ষিত বাহিনীতে নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদেরও ইউক্রেনের যুদ্ধে পাঠানো হবে। সে জন্য রুশ সেনাবাহিনী তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেবে৷ 

এই ঘোষণার হওয়া মাত্রই পড়শি মঙ্গোলিয়া, ফিনল্যান্ড, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্থানে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কাটতে শুরু করে দিয়েছেন রুশ পুরুষরা। শুক্রবার এই দেশগুলিতে যাওয়ার সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেই খবর।

এদিকে, দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়তেই রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে৷ গাড়ি প্রায় এগোতাই পারছে না৷ বিমানবন্দরের পথে অনেকেই গাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। একটি ভিডিয়ো পোস্টে দেখা গিয়েছে, জর্জিয়ার সীমান্ত এলাকায় রাতের অন্ধকারে গাড়ির লম্বা লাইন৷ পড়শি দেশে যাওয়ার লক্ষ্যে ছুটছে সকলে৷ 

rush

দেশ ছেড়ে পালানো ছাড়া যে আর রক্ষে নেই, সেটা বেশ ভালোই বুঝে গিয়েছেন রুশ নাগরিকরা৷ তবে যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচতে আরও একটি বুদ্ধি এঁটেছেন রুশরা। সম্প্রতি রুশ-পত্নীরা নাকি ব্যাপক ভাবে গুগল সার্চ করছেন, ঘরে বসে কী ভাবে হাত ভাঙা যায়, তা জানতে! আসলে স্বামীদের হাত-পা ভেঙেই তাঁদের ইউক্রেন-যাত্রা রোখার কৌশল নিয়েছেন রুশ-বধূরা।