মাছের আঁশে সোনা-রুপা? কদর শুনলে অবাক হবেন

কলকাতা: মাছের আঁশ পেটে চলে গেলে কী হয় জানেন?সত্যিই বয়স থেমে যায়?বিদেশে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়।আসল রহস্য জানলে,মাছের আঁশ আর ফেলবেন না। কোনদিন ভেবেছেন…

Picsart 24 07 16 00 58 40 707

কলকাতা: মাছের আঁশ পেটে চলে গেলে কী হয় জানেন?সত্যিই বয়স থেমে যায়?বিদেশে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়।আসল রহস্য জানলে,মাছের আঁশ আর ফেলবেন না।

কোনদিন ভেবেছেন মাছের আঁশের উপকারিতা আছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, মাছের আঁশেই আছে যৌবন ধরে রাখার রহস্য। একদম বয়স আটকে যাবে। কিভাবে? সেটাতে পরে আসছি। তার আগে বলবো এতে রয়েছে আয়্যন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। ম্যাগনেসিয়াম হাড় আর পেশি মজবুত করে। এছাড়া এর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্ট ভালো রাখে।

আর কোলাজেন এর গুণ তো আলাদাই। আসলে, মাছের আঁশে রয়েছে কোলাজেন। এই প্রোটিনেই থাকে আসলে যৌবন ধরে রাখার মন্ত্র। ১০ কেজি আঁশ শুকিয়ে মোটামুটি চার কেজি শুকনো আঁশ মেলে। তারপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেটা থেকে খনিজ পদার্থ বাদ দেওয়া হয়। এরপর ওজন আরও দু’কেজি কমে যায়। সেই দু’কিলো আঁশ থেকে ৬০০ গ্রামের মতো কোলাজেন মেলে। মাছের আঁশ ভালো করে প্রসেস করে গন্ধ দূর করে, তারপর কোলাজেন সংগ্রহ করা হয়। কলকাতায় বা এ রাজ্যে মাছের আঁশ থেকে কোলাজেন তৈরি হয় না। আঁশ পাঠানো হয় দিল্লি কিম্বা গুজরাতে। সেখান থেকে পাউডার হয়ে তা পাড়ি দেয় বিদেশে। এখানকার মাছের আঁশ থেকে তৈরি কোলাজেনের বেশিটাই যায় জাপানে। কোটি কোটি টাকায় রফতানি হয় কোলাজেন।

আসলে আমাদের শরীরের বয়সের পাশাপাশি বয়স বাড়ে আমাদের ত্বকেরও। ফলে লক্ষ্য করা যায় নানান লক্ষণ যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় যাকে বলি স্কিন এজিং। ত্বক শুস্ক হয়ে যাওয়া, কুঁচকে যাওয়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাওয়া, বলিরেখা ইত্যাদি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উপরের স্তর এপিডার্মিস পাতলা হয়ে যায় আর মেলানিন ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে ফলে ত্বক হয়ে পড়ে ফ্যাকাশে। অন্যদিকে সংযোগকারী টিস্যুগুলোর ইলাস্টিসিটি ক্ষয় হয়ে চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গেই হয় কোলাজেন ব্রেকডাউন যা ত্বকের বার্ধক্যের জন্য দায়ী।

সেক্ষেত্রে এই কোলাজেনের ভারসাম্য যদি বজায় রাখা যায় তাহলে ত্বকের বয়স একই জায়গায় আটকে থাকবে। চুলও থাকবে একই রকম।