trinamul
নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি কেন্দ্র নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে তা হল ডায়মন্ড হারবার এবং বহরমপুর। ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের বর্তমান সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর হুঙ্কার দিয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। অন্যদিকে বহরমপুর কেন্দ্রে টানা পাঁচবারের সাংসদ কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক আরও তলানিতে এসে ঠেকেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে যাতে অধীরকে হারানোর জন্য কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়েছে তৃণমূল।
বর্তমানে বহরমপুর কেন্দ্র নিয়েই রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি চর্চা চলছে। যেভাবেই হোক বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূলকে জেতাতে হবে, এই বার্তা খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে দিয়েছেন বলেই খবর। আর সেই সূত্রে জানা গিয়েছে যে, বহরমপুর কেন্দ্রে তৃণমূল যদি কোনও মুসলিম প্রার্থী দাঁড় করায় তাহলে অধীরকে হারানো সম্ভব। জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে এই বার্তাই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব পেয়েছেন বলে খবর। সেভাবেই ছক কষা হচ্ছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ঘটনা হল মুর্শিদাবাদ একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা। জেলার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে কমবেশি ৫৬ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে অধীর চৌধুরীর জনপ্রিয়তা যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু এই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর জন্য যদি সংখ্যালঘুদের মনে হয় তৃণমূলকে ভোট দিলে বিজেপি হারবে, তাহলে তাঁরা নিশ্চিতভাবে সেটাই করবেন। সেই জায়গা থেকে বহরমপুর কেন্দ্রে কোনও সংখ্যালঘু প্রার্থী যদি তৃণমূল দাঁড় করায় তাহলে অধীরের সমস্যা হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। গত লোকসভা নির্বাচনে অধীরের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল অপূর্ব সরকারকে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। প্রায় ৮০ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলেন অধীর। এবার অধীর ডাবল হ্যাটট্রিকের মুখে দাঁড়িয়ে। সেই জায়গা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে হারাতে উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। বহরমপুর কেন্দ্র তাই মর্যাদার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেখানে শেষ হাসি কে হাসেন এখন সেটাই দেখার।