হাই ব্লাড প্রেশার! নীরব ঘাতক থেকে বাঁচতে যা করবেন

কলকাতা: উচ্চ রক্তচাপ শরীরে এই সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে রোজ সকালে নিয়ম করে ওষুধও খান অনেকে। কিন্তু শুধুমাত্র ওষুধ খেলেই…

কলকাতা: উচ্চ রক্তচাপ শরীরে এই সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে রোজ সকালে নিয়ম করে ওষুধও খান অনেকে। কিন্তু শুধুমাত্র ওষুধ খেলেই যে বাগে থাকবে সমস্যা এমনটা ভুলেও ভাববেন না। কারণ, এই রোগের জন্য দায়ি আমাদের লাইফস্টাইল।

হাই ব্লাড প্রেসার হলো এমন একটি শারীরিক অবস্থা যখন আপনার রক্তনালীতে প্রচন্ড পরিমাণে চাপ সৃষ্টি হয়। রক্তনালীতে চাপ সৃষ্টি হলে হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এই রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে। কখন শরীরের কোন অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে রোগ, তা আগে থেকে বোঝা যায় না। ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলেই হার্ট অ্যাটাক, ব্রেন স্ট্রোকের মত ঘটনা ঘটতে পারে। দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে হাই ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোলে রাখা যায়। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে ট্রাই করতে পারেন কুমড়োর বীজ।

কুমড়োর বীজে অ্যামিনো অ্যাসিড ও নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে, যা হাইপারটেনশনের রোগীদের রক্তচাপকে বশে রাখতে সাহায্য করে। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপেন নামের যৌগ দেহে রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে। টক দই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য উপকারী। এই খাবারে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিটরুটের তরকারি বা রস খেয়ে আপনি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। এছাড়াও রোজকার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাকপাতা রাখুন। এক কোয়া রসুন রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। রসুনে উপস্থিত অ্যালিসিন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া রসুন দেহে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করে এবং রক্তনালীকে শিথিল করে রক্তচাপ কমায়।

সাধারণ ভাবে হাই ব্লাড প্রেসারের কোনও নির্দিষ্ট লক্ষণ থাকে না। তাই অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে রোগ। শরীরের বেশ অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যাবার পর টের পাওয়া যায় হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ওবেসিটি, শরীরচর্চা প্রতি অনীহা, অত্যধিক পরিমাণে নুন খাওয়া, মদ্যপান, মানসিক চাপের মতো বিষয়গুলো উচ্চ রক্তচাপের পিছনে দায়ী। এমনকি পরিবারের মধ্যে যদি হাইপারটেনশনের ইতিহাস থাকে, তাহলেও এই সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমন রেকর্ড থাকলে আজই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *