কলকাতা: জ্ঞানের নারী টনটন করে, অথচ চিয়া সিডসের সঙ্গে এটা খাচ্ছেন না তো? এত বড় ভুলটা করবেন না নিজের সাথে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের চোখে জল আসবে আপনার। একটা সামান্য জিনিস খেলেই হবে কামাল। পুরোটা পড়লেই বুঝবেন ভুলটা কোথায় হচ্ছে?
চিয়া সিডের প্রচুর গুণ। এই বীজ হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশনের সমস্যা কমায়। কিন্তু, যদি পরিমাণটা একটু এদিক-ওদিক হয়ে যায় তাহলেই ঘটবে বিপদ। হ্যাঁ চিয়ার সিট খাওয়ার পদ্ধতি আছে না হলে কমার বদলে বাড়তে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
কি পদ্ধতিতে খাবেন সেটাতে পড়ে আসছি তার আগে বলবো, চিয়া সিডসে প্রচুর ফাইবার আছে৷ প্রতি ১০০ গ্রাম চিয়া দানায় আছে ৪০ গ্রাম ফাইবার৷ তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কথা নয় সাধারণত৷ কিন্তু পর্যাপ্ত জল না খেলে সমস্যা দেখা দেবে৷ বুঝতে হবে লজিক দিয়ে। চিয়াদানা শরীর থেকে অতিরিক্ত জলশোষণ করে নেয়৷ তাই বেশি জল পান না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে৷ তখন কিন্তু আপনার সমস্যা কমার বদলে বাড়বে। অথচ আপনি না বুঝে চিয়া সিড খেয়ে যাবেন। কিন্তু উপকার ও পাবেন না।
তাই দুধ হোক বা জল, চিয়া সিড ভেজানোর সঠিক পদ্ধতি রয়েছে। সবসময় ১:৩ অনুপাতে চিয়া সিড জল বা দুধে ভেজান। ১ অংশ চিয়া সিড এবং ৩ অংশ জল বা দুধ নিন। এর চেয়ে বেশি চিয়া সিড বা জল নেবেন না। জল বা দুধে চিয়া সিড মেশানোর পর ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘন্টা রেখে দিন। এর মাঝে মিশ্রণটি চামচ দিয়ে একটু নেড়ে দিন। মিশ্রণটি থকথকে হয়ে গেলে এটি খেতে পারেন। তার আগে নয়।
মনে রাখবেন, চিয়া দানায় বহু পুষ্টিগুণ থাকলেও জলীয় অংশ কম৷ তাই ডায়েটে এই বীজ রাখলে সারাদিন আপনাকে প্রচুর জলপান করতে হবে৷ নয়তো হিতে বিপরীত হতে পারে৷ আর, হ্যাঁ রোস্টেড চিয়া সিড খেলেও এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। অন্যথায়, হজমের গণ্ডগোল দেখা দিতে পারে।
তাহলে আর একই ভুল না করে, ডায়েট ফুডের স্বাস্থ্যগুণ পেতে জলে মিশিয়ে, স্মুদি বানিয়ে, শেক তৈরি করে বা স্যুপে দিয়েও খেতে পারেন চিয়া সিডস৷ শুধু বেশি করে জল খাওয়া মাস্ট।