narendrapur school
কলকাতা: নরেন্দ্রপুরে একটি স্কুলে বহিরাগতদের তাণ্ডব৷ স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ৷ সঙ্গে চলল ভাঙচুর৷ বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হয়েছেন বলে খবর৷ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ বেশ কয়েকজন ছাত্রও আহত হয়েছে বলে খবর৷
শনিবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে। বহিরাগতরা স্কুলে ঢুকে মারধর করার পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মোবাইল ফোন ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ। এরই মধ্যে আক্রান্তরা বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ, তাঁর মদতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷ এক শিক্ষিকাকে বলতে শোনা যায়, ‘হেডমাস্টারের কাছের মানুষদের কেউ কিছু করেননি৷ একটা গালিগালাজও দেয়নি’৷ এদিকে, বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গালিগালাজ ও মারধর করা হয়। আতঙ্ক ছড়ায় স্টাফরুমে। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত হয়েছেন৷ চোট লেগেছে শিক্ষিকাদেরও৷ যদিও প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা, অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে কেন এই হামলা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়৷ বহিরাগতদের পরিচয়ও এখনও জানা যায়নি৷
স্কুলে প্রথম ক্লাস শুরু হওয়ার সময় স্টাফরুমে ১৮-২০ জন শিক্ষক ছিলেন৷ আচমকাই ২০-২৫ জন ভিতরে ঢুকে মারধর করতে শুরু করে৷ যাঁরা এই ঘটনার দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়৷ আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগের তীর প্রধান শিক্ষকের দিকে৷ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছিলেন কিছু শিক্ষক সেই মামলা চলছে৷ মামলা তোলার জন্য বেশ কয়েকবার চাপও দেওয়া হয়েছে৷ মামলা তুলতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে৷
এদিকে, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী৷ অবিলম্বে তদন্ত করে দোষীদের কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷