কলকাতা: নিরামিষ রান্নার স্বাদ হবে মাংসের মতো। দু তিনটে জিনিস মেশালেই আঙুল চেটেপুটে খাবেন। আমিষ খাওয়ার ইচ্ছে হবে না আর কোনোদিন। মুখ ব্যাজার না করে,চটপট লিস্টটা বানিয়ে নিন, দেখুন আপনার রান্নাঘরে আছে কিনা।
যথেষ্ট তেল-ঝাল-মশলা দিয়ে রান্না করলেই হবেনা। কৌশলটাও জানতে হবে। জানেন তো, ঘি এর কিন্তু আলাদাই মহিমা।
হ্যাঁ, বাড়ির তৈরি নিরামিষ পদের তেমন কোনও স্বাদ হয় না। এমন অভিযোগ আপনাকেও শুনতে হয় নিশ্চয়ই? তবে আর নয়। জাস্ট, সঠিক পদ্ধতিতে নিরামিষ রান্না করলেই স্বাদ হবে দুর্দান্ত। ঘি এর কথায় পরে আসছি, আগে বলবো দমে বসিয়ে রান্না সারুন। হাই ফ্লেমে রান্না করার চেয়ে নিভু আঁচে রান্না করাই শ্রেয়। তবে ভাজা-ভুজি রান্না করতে হলে আঁচ বাড়িয়েই রান্না সারুন। আর মশলা কষানোর সময়ে আঁচ একেবারে কমিয়ে দিন। যে কোনও নিরামিষ পদ নিভু আঁচে রান্না করাই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আর ঘি টা কখন দেবেন? দেখুন, নিরামিষ রান্না মানেই তার কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। যেমন ধরুন ছানার কোফতা বা ধোঁকার ডালনা কিংবা মোচার ঘণ্ট। এসব রান্না করতে হলে তেলের বদলে ঘি দেওয়াই শ্রেয়। ঘি দিলে যে কোনও রান্নাই খাসা হয়। যদিও রোজ রোজ ঘি খাওয়া উচিত নয়। তবে এক বা দু’দিন তরকারিতে মিশিয়ে খেলে স্বাদ কিন্তু ভালোই হয়।
না এখানেই শেষ নয়। চটপটা স্বাদ আনুন স্যস ব্যবহার করে। ধরুন, আলুর দম বা ঘুঘনি রান্না করতে হলে সস ব্যবহার করতে পারেন। এতে রান্নার স্বাদ হবে টক-মিষ্টি। আর ঝোলটাও বেশ ঘন হবে। আবার দেখবেন আঙুল চেটেও সকলে খাবেন।
আরেকটা জিনিস ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। হিং। যদি অ্যালার্জি না থেকে থাকে কোনোরকম, তাহলে ফোড়নে হিং দিয়ে তারপর রান্না করুন। দেখুন দুর্দান্ত হবে।
আবার রং টাও কিন্তু জরুরী।
রান্না শুধু স্বাদে বা গন্ধে অতুলনীয় হলে চলবে না। তাই তো অনেকেই ফুড কালার ব্যবহার করেন। যা একেবারেই উচিত নয়। নিরামিষ কোনও রান্নায় ফুড কালার ব্যবহার করলে স্বাদ পাবেন না তেমন। এর চেয়ে রং আনতে ব্যবহার করুন কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো বা হলুদ গুঁড়ো। এই দুই উপকরণ রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদ ভালো হবে, আবার দেখতেও সুন্দর লাগবে।
আবার অনেকেই ভাবেন বেশি তেল মশলা দিলেই নিরামিষ রান্নায় স্বাদ হবে দারুন। ভুল। কম মশলায় স্বাদু রান্না সারুন। নিরামিষ রান্না সব সময়ই কম তেল-মশলা দিয়ে করতে হয়। বেশি তেল-মশলা দিয়ে রান্না সারলে তিতকুটে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাছাড়া, মশলা বেশি হয়ে গেলে স্বাদেরও ফারাক হয়ে যায়।
সেক্ষেত্রে, জাস্ট এই কয়েকটা টিপস মেনে দেখুন। আমিষ ছেড়ে নিরামিষ খাবে সবাই।