কলকাতা: সুগারের রোগীর সারাদিনে কতবার খাওয়া উচিত জানেন সেটা?খাবারের পরিমাণ, খাওয়ার সময় আর প্রতিদিন খাবারের মেন্যু এই সব কিছুর দিকে বিশেষ নজর দিন। আর কাঁচা কলার বেনিফিটটা জানেন তো? জানলেই ১৬ কলা পূর্ণ।
প্রথমেই বলবো, বিশেষজ্ঞদের অ্যাডভাইসটা জানা দরকার। তাঁরা বলছেন, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটা করে কলা খাওয়া প্রয়োজন৷ পাকা কলার পাশাপাশি কাঁচা কলার উপকারিতাও অনেক। যা ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাহলে, আর দেরী নয়। ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই অ্যাড করুন কাঁচা কলা। এর সঙ্গে অবশ্যই মাথায় রাখুন, ডায়াবেটিস এড়াতে প্রতিটা মানুষের উচিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া। কারণ, রক্তে সুগার লেভেলে ভারসাম্য না থাকলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এবার বলি, কী খাবেন সুগার রোগীরা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন একই খাবার খাওয়া উচিত। সুস্থ থাকার জন্য। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম, মাছ ও মাংস খাওয়া উচিত সঠিক পরিমানে। কিন্তু কি খাবেন না সেটাও বলবো, তার আগে জানাবো দিনে কতবার খাবেন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা।
সাধারণভাবে, সুগারের রোগীদের দিনে তিন বার ছোট স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার এবং তিনটে বড় মিল খাওয়া উচিত। এই ভাবে খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে ডায়াবেটিসে জরুরী ক্যালরির চাহিদা পূরণ হবে।
আর হ্যাঁ, টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ওজন বেশি থাকে। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে। পাশাপাশি বেশি বেশি শারীরিক কার্যকলাপ মানে এক সপ্তাহে নিদেনপক্ষে ১৫০ মিনিট ওয়ার্ক আউট করাটাও জরুরি। যাতে দ্রুত স্থূলতা কমিয়ে স্বাস্থ্যকর ওজনে পৌঁছানো যায়।
তবে, মনে করে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড। এমনকি অতিরিক্ত লবণ বাদ দিতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জিনিস, ক্যান্ডি, জেলি, কুকিজ এবং সোডা জল বা সফ্ট ড্রিঙ্কস পান করা এড়িয়ে চলতে হবে। প্লিজ রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে প্রচুর চর্বি থাকে। ফ্রোজেন ফল ভুলেও নয়। আর আপনার খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল ও সবজি রাখুন। প্রচুর জল খান। দেখুন উপকার পাবেন।
তবে অনেক ডায়াবেটিস রোগী আছেন যারা কিনা নিজেদের স্বার্থের দিকে টপার ধ্যান দেন না বা সতর্ক থাকেন না। তাঁদের জন্য বলবো, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে না যায়, এমনকি যাঁরা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইনসুলিন বা ওষুধ ব্যবহার করেন তাঁদের খাদ্যের বিষয়ে কিন্তু সতর্ক হতেই হবে।