নয়াদিল্লি: অর্থনৈতিক মন্দা তো ছিলই, তার ওপর অতিমারির জেরে বেহাল দশা বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রের। স্বাভাবিক ভাবে তার প্রভাব পড়েছে সোনা কেনাবেচায়। খবরে প্রকাশ, এক আউন্সে (২৮.৩৪ গ্রাম) প্রায় ২৫০০ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে কোনও সংস্থা। এপ্রিলের শুরুতেও এমন ভাবেই সোনার দাম নিম্নমুখী হয়েছিল। এবার ফের সেই ঘটনা ঘটল। প্রসঙ্গত, সোনার ঘরোয়া দামের মধ্যে ১২.৫ শতাংশ আমদানি কর এবং তিন শতাংশ বিক্রয় কর ধরা হয়ে থাকে।
লকডাউন ধীরে ধীরে উঠে গেলেও সোনা কেনাবেচা এখনও দূর অস্ত। কলকাতার জেজে গোল্ড হাউজের মালিক হর্ষদ আজমেরা বলছেন, কিছু কিছু রাজ্যে গয়নার দোকান খুললেও তা মাছি তাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেউই সোনা কিনতে আগ্রহী নন। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর মে মাসের তুলনায় এ মাসে সোনার ব্যবসা ৯৯ শতাংশ কমে গেছে। মুম্বইতে সোনার দোকান খুললেও ক্রেতার অভাবে ফের বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন দোকান মালিকরা। এদিকে, সোনার বড় বড় বাজার চীনেও একই অবস্থা। নির্ধারিত মূল্য থেকে আউন্স প্রতি ১১ থেকে ১৪ ডলার পর্যন্ত দাম কমে গেছে। গত সপ্তাহে ছাড়ের পরিমাণ পৌঁছে গেছিল ১৮ ডলার পর্যন্ত।
এমনিতেও জুন মাস সোনা কেনার জন্য ‘সফ্ট সিজন’ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন হং কং-এর অলঙ্কার ধাতু বিশেষজ্ঞ স্যামসন লি। তার ওপর হং কং-এর ওপর চীনের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রতিবাদের ঝড়েও সোনা বিক্রি খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতে তেমন কোনও সমস্যা না হলেও কোভিড-১৯ অতিমারির জেরে থমকে গিয়েছে সোনার বিক্রি। যে সময়ে সুস্থ থাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে, সেখানে সোনা-রুপো কেনা বাতুলতা বলেই মনা করা হচ্ছে।