কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কোথায় ছিল ‘কবচ’? বড় প্রশ্ন

কলকাতা: কুরবানির ঈদের দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ফের একবার ‘কবচ’ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। রেলমন্ত্রী শোকবার্তা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু,…

কলকাতা: কুরবানির ঈদের দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা ফের একবার ‘কবচ’ সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।

রেলমন্ত্রী শোকবার্তা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। কিন্তু, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা আঙুল তুলছে যাত্রী সুরক্ষার দিকেই। অথচ, মানুষের ভুলে দুর্ঘটনা রুখতে রেল কর্তৃপক্ষ ‘কবচ’ সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, মালগাড়ির চালক ভুল করে সিগন্যাল না বুঝে শিয়ালদহমুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের লাইনে ঢুকে পড়েন। কিন্তু, মানুষের ভুল সত্ত্বেও তা ঠেকাতে সুরক্ষা ব্যবস্থায় আমদানি করা হয়েছিল অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন ব্যবস্থার। এই ব্যবস্থায় কোনও সিগন্যাল ভঙ্গ ঘটলেও তা রোখার নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু, তা হলে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটলো কি করে?

কবচ কার্যকর থাকলে চালককে সতর্ক করে দিতে পারত এবং ট্রেনটাও থামিয়ে দিতে পারত। কারণ একই লাইনে দুটো ট্রেন নিরাপদ দূরত্ব ভেঙে চলে এলে সক্রিয় হয়ে ওঠার কথা কবচের। তাতে ব্রেক পড়ার কথা এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় ট্রেনের গতিরোধ করার কথা।

এক সময় ভারতীয় রেল যাত্রী সুরক্ষায় এই কবচ ব্যবস্থা চালু করেছিল। রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন এই প্রযুক্তির নির্মাতা। কুয়াশা ও অন্য কোনও দৃশ্যমানতার অভাব কিংবা দ্রুত গতির ট্রেন সিগন্যাল ফেল করলে এই প্রযুক্তি সক্রিয় হয়ে ওঠে।সেই কবচ এখানে কি আদৌ ছিল? সূত্রের খবর, ভারতীয় রেল ১০ হাজার কিমি লাইনের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার কিমি পথের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ-মধ্য রেলের ১৪৬৫ কিমি পথের ১৩৯টি ইঞ্জিনে কবচ লাগানো হয়েছে। পূর্ব রেল, পূর্ব-মধ্য রেল, উত্তর-মধ্য, উত্তর রেল, পশ্চিম-মধ্য রেল এবং পশ্চিম রেলের আনুমানিক ৩ হাজার রুটে কবচ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ তথা কলকাতায় যাতায়াত করলেও নিউ জলপাইগুড়ি-শিয়ালদহ লাইনে কবচ সুরক্ষা কোথায় গেল, দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে বারবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *