BJP MP joins TMC?
পশ্চিমবঙ্গ থেকে এবার বিজেপি ১২ জন সাংসদ পেয়েছে। যা গতবারের থেকে ছ’টি কম। কিন্তু এই ১২ জন সাংসদকেও বিজেপি ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব না পেয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’কে।
এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ তথা দলের অন্যতম জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেল এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) যা লিখেছেন তাতে জল্পনা আরও বেড়েছে। তিনি লিখেছেন,
“এই মুহূর্তে লোকসভায় বিজেপির ২৪০ এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সদস্য সংখ্যা ২৩৭। বাংলার তিন বিজেপি সাংসদ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং দ্রুত উল্লেখযোগ্য খবর সামনে আসবে। তখন দুজনেরই সদস্য সংখ্যা হবে ২৪০।”
(Joins TMC)
As of today, the numbers in the Lok Sabha are
BJP: 240
INDIA: 2373 BJP MPs in West Bengal are in touch with us & there will be a nice surprise soon.
After that,
BJP: 240
INDIA: 240Modi’s creaky coalition is a temporary structure which isn’t going to last very long.
— Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) June 11, 2024
বেশি চর্চায় রয়েছেন সৌমিত্র খাঁ
স্বাভাবিকভাবেই সাকেত গোখেলের এমন বার্তায় গোটা বিষয়টি নিয়ে জল্পনা বেড়েছে। যদি বিষয়টি সত্যি বলে ধরে নিতে হয় তাহলে প্রশ্ন উঠছে ওই তিন সাংসদ কে বা কারা হতে পারেন? যথারীতি সবচেয়ে বেশি চর্চায় রয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। নিজের বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে নির্বাচনে জেতার পর সৌমিত্র প্রশংসা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাই তিনি দলবদল করে তৃণমূলে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে। সাকেত টুইটে তিনজনের কথা বলেছেন। সেক্ষেত্রে একাধিক নাম প্রথমেই বাদ দিতে হবে।
দলে সাংসদরা থাকবেন তো?
যেমন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং সৌমেন্দু অধিকারী দলবদল করবেন এটা অসম্ভব বললেও কম বলা হয়। মনোজ টিগ্গা প্রথমবার সাংসদ হয়েছেন এবং তিনি আদি বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত। দার্জিলিংয়ে রাজু বিস্তাকে দল টিকিট দেবে কিনা তা নিয়ে একটা সময় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দার্জিলিং আসনে রাজুকেই টিকিট দিয়েছে বিজেপি এবং তিনি বড় ব্যবধানে জিতেওছেন।
দলবদল
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের সঙ্গে দলের বনিবনা হচ্ছে না এমন কোনও খবর নেই। মালদা উত্তরের খগেন মুর্মুর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আর কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব পাওয়ায় সুকান্ত মজুমদার বা শান্তনু ঠাকুর দলবদল করবেন সেটাও অসম্ভব বললে কম বলা হয়। তাহলে বাকি থাকলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, রায়গঞ্জের কার্তিক পাল এবং রানাঘাটের জগন্নাথ সরকার। কার্তিক পাল অতীতে কংগ্রেসে ছিলেন। একটা সময় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।
পরবর্তীকালে বিজেপিতে যোগদান করেন। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক বহুদিন ধরেই রয়েছে বলে কান পাতলেই শোনা যায়। তবে কী তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখেল যে দাবি করেছেন সেই অনুযায়ী তিনজনের মধ্যে একজন কার্তিক পাল হতে পারেন? আর তৃতীয় ব্যক্তি কী জ্যোতির্ময় বা জগন্নাথের মধ্যে কেউ? বলাবাহুল্য এর কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। সদ্য নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে কেউ দলবদল করবেন এটা কী আদৌ হওয়া সম্ভব? পাঁচ বছর তাঁদের সাংসদ পদের মেয়াদ রয়েছে। সেখানে দলবদল করে কেন তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজেকে ঠেলে দেবেন? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে।
কিন্তু এটাও প্রশ্ন, তাহলে তৃণমূলের সাকেত গোখেল এমন টুইট করলেন কেন? তবে কী বঙ্গ বিজেপিতে যাতে আগামী দিনে ভাঙন ধরে সেই চেষ্টা এখন থেকেই শুরু করে দিলেন তিনি? এটা কী তৃণমূল নেতৃত্বের কৌশলী চাল? দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ইশারাতেই এমন টুইট করেছেন সাকেত? যদিও বিজেপির দাবি এগুলি আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। দলের কোনও সাংসদ আগামী দিনে তৃণমূলে যোগ দেবেন, এমন সম্ভাবনা সামান্যতম নেই বলেও গেরুয়া শিবিরের দাবি। তাই আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয় কিনা সেদিকেই চোখ থাকবে সবার।
আরও পড়ুন-
এআইয়ের কারসাজি! ভোট সেলিব্রেশনে মোদী-মমতা
রাজনীতি থেকে বিরতি! হঠাৎ কী হল অভিষেকের?
রাহুল গান্ধীর খোঁচায় বড় সিদ্ধান্ত মোদীর! সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নির্দেশ
এটাই বিজেপি, ফের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে অনামী মুখ! নয়া ইতিহাস ওড়িশায়
গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক না পেয়েও ‘সাইলেন্ট’ কেন নীতীশ-নাইডু? জল্পনা তুঙ্গে
Politics: BJP MP joins TMC? Sakhet Gokhale‘s tweet sparks speculation about party hopping in West Bengal.