বেতন নিয়ে চরম সমস্যায় অর্ধেক ভারতীয় সংস্থায়: সমীক্ষা

বেতন নিয়ে চরম সমস্যায় অর্ধেক ভারতীয় সংস্থায়: সমীক্ষা

মুম্বই:  বেতন নিয়ে সমস্যায় ভুগছে অর্ধেকের বেশি ভারতীয় কোম্পানি। জানাচ্ছে রেটিং এজেন্সি ক্রিসিল। একই সঙ্গে জানা যাচ্ছে, বেতন কমানোর পরিসংখ্যানই এক্ষেত্রে উঠে আসছে বেশী, যার ফলে চাহিদা পূরণ দেরীতে হওয়ায় সর্বমোট আর্থিক উন্নতিতেও বিলম্ব হয়৷ দেশের ৪০ হাজার কোম্পানির ১২ লক্ষ কোটির বেতন বিলের বিশ্লেষণ করে এই ফল হাতে এসেছে বলে এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে। এই সমস্যার ৫২ শতাংশই বিলের আকারের ওপর নির্ভর করে এবং ৬৮ শতাংশ কোম্পানির সংখ্যার হিসেবে নির্ভর করে। যদিও এর ফলে বেকারত্ব বা ছাঁটাই খুব একটা না ঘটলেই বেতন কাটার হার বেশ বেশিই থাকে। যার অর্থ হল আর্থিক উন্নতির হার যথেষ্ট কমে যাওয়া৷

এসবিআই আয়োজিত এক ইকোনমিকস কনফারেন্সে এমন তথ্যই তুলে ধরেছেন এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা চিফ এক্সজিকিউটিভ আশু সুযশ। এই মন্তব্যের পর বিভিন্ন কোম্পানির তরফে ছাঁটাইয়ের রিপোর্ট উঠে আসে। যদিও এই তথ্যও উঠে আসে এই ট্রেন্ড বন্ধ করতে চাহিদা তৈরির ক্ষেত্রটিকেই গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন এজেন্সি মনে করে কোম্পানিগুলির আয় ১৪ থেকে ১৭ শতাংশ কমবে এবং চাহিদার ক্ষেত্রটিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। সুযশ বলেন চাহিদা কমতে থাকায় অর্থনীতিতে যেকোন মূল্যে প্রভাব পড়ছে যা কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি অতিমারী পরিস্থিতি সেরে ওঠার গতি কমাচ্ছে।

জিডিপি বাড়ানোর ক্ষেত্র তৈরি করতেও তিন বছরের বেশী সময় লেগে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন। সেক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে তা তৈরী হবে কিনা সে নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন সুযশ। দশ শতাংশ স্থায়ী ক্ষতি হযে যাবে জিডিপিতে, বলেও তিনি মনে করেন। তবে কোম্পানিগুলির আর্থিক ক্ষতি ২০০৮ সালের মত হবে না বলেও মনে করেন তিনি। কারণ কোম্পানিগুলির নিম্নগতি রোখা গেলেও আর্থিক সহায়তা এবং চাপ বোঝার ক্ষেত্রে সেবির নমনীয়তার জন্য দুর্বল কোম্পানির সংখ্যা একই রযেছে বলেও তাঁর মন্তব্য।

কিছু সেক্টরের সংস্থা যারা করোনার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের এগোতে সমস্যা হবে বলেও তাঁর ধারণা। চলতি আর্থিক বছরের শেষে ব্যাঙ্কে নন পারফর্মিং অ্যাসেট ১১.৫ শতাংশ বাড়বে বলে আশাবাদী সুযশ। তবে ১৯৯১ সালের পরিস্থিতির চেয়েও এখন তা অনেক কম বলে তিনি মনে করেন। কোম্পানির ব্যালেন্স শিট এবং আর্থিক জোগানের পরিস্থিতির ওপরই একটি কোম্পানির সমস্যায় টিঁকে থাকার ক্ষমতা নির্ভর করে বলে তিনি মনে করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *