নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট পরবর্তী হিংসা আর নয়। কোনও ভাবেই যেন একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পরবর্তী পরিস্থিতি ফিরে না আসে রাজ্যে। এ বিষয়ে এখন থেকেই কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন হচ্ছে শনিবার। কিন্তু এরপরেও রাজ্য জুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রেখে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৪ জুন ভোটের ফল প্রকাশ হবে। আর ৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এর মধ্যে বিএসএফ, সিআরপিএফ, এসএসবি’র একাধিক ব্যাটেলিয়ান থাকবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের নানা প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় বহু রাজনৈতিক কর্মীর। সেই ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। বিজেপির অভিযোগ একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের নানা জেলায় তাদের কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূলের হাতে। তবে তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এখনও চলে। সেই ঘটনার তদন্ত করতে সিবিআই আধিকারিকরা মাঝেমধ্যেই পৌঁছে যাচ্ছেন জেলায় জেলায়।
ঘটনা হল একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপির বহু কর্মী সমর্থক দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। কংগ্রেস, সিপিএমের বহু কর্মী-সমর্থকও আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন একাধিক বিরোধী কর্মী সমর্থক, এমনটাই অভিযোগ ওঠে। একটা সময় বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতের নির্দেশে শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। আর সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দু’দিন পরেও রাজ্যে ৪০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য এই দাবি আগেই কমিশনের কাছে জানিয়েছিল বিরোধীরা। সেই সূত্রেই কমিশনের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে বিরোধীরা। তাঁদের আশা রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে এড়ানো যাবে হিংসা। সূত্রের খবর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেই অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হবে বাহিনী।
- Lok Sabha Elections 2024: Election Commission takes measures to prevent post-poll violence in West Bengal, deploys central forces till June 6. Read the latest updates on the election scenario.