নয়াদিল্লি: ইস্তফা দিলেন টিকটকের সিইও কেভিন মেয়ের। বিবৃতি দিয়ে জানাল খোদ কোম্পানি। মার্কনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় এই ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ এবং কোম্পানির এক কর্মীর তরফে মামলা দায়ের হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেন মেয়ের। আমেরিকায় কোম্পানির সমস্ত রকমের আর্থিক লেনদেন বন্ধের প্রেক্ষিতে ট্রাম্প প্রশাসনের দেওয়া নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বলা হয় পুনর্নিরাবচন নিশ্চিত করতে চিন বিরোধী শক্তিকে ইন্ধন দিতেই এই নির্দেশিকা বলে দাবি করে টিকটক। ইস্তফা নিয়ে কর্মীদের লেখা একটি চিঠিতে টিকটকের সিইও বলেন ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আমি আপনাদের সকলকে জানাতে চাই যে আমি কোম্পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কেভিন মেয়েরের বিকল্প হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন টিকটকের জেনারেল ম্যানেজার ভেনেসা প্যাপাস। জুন মাসেই টিকটকের চিনা অভিভাবক সংস্থা বাইটডান্সের চিফ অপারেটিং অফিসার পদে দায়িত্ব নেন কেভিন মেয়ের। তিনি সরাসরি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ইমিং ঝ্যাংকে রিপোর্ট করতেন।
টিকটকের ওয়েবসাইট জানাচ্ছে ডিজনিতে দীর্ঘ এবং সফল কেরিয়ারের পর টিকটকে যোগ দেন মেয়ের। মূলত কোম্পানির ডায়রেক্ট টু কনজিউমার এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসায় নজর রাখতেন তিনি। ডিজনির ফ্ল্যাগশিপ স্ট্রিমিং সার্ভিস ডিজনি প্লাসের উন্নয়ন ও সাফল্যের পিছনে তাঁর বড়সড় হাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। এদিকে করোনা আবহে সমস্ত চিনা কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে নজরদারি চালাচ্ছে আমেরিকা। মূলত টিকটকের মত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির অভিযোগও তোলা হয়েছে বারবার।
হোয়াইট হাউজের তরফে এই অ্যাপের ব্যবহার জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও টিকটক ও বাইটডান্সের ক্যালিফোর্নিয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে এই সমস্ত দাবিই ভিত্তিহীন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে টিকটকের মার্কিন ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা যথাযথভাবে রক্ষিত হয়। পাশাপাশি সংস্থার আরও দাবি ৬ অগাস্ট টিকটকে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি আসলে চিনবিরোধী ভাবমূর্তি তৈরী করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা আসার জন্য ট্রাম্পের ছল।