নয়াদিল্লি: লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষের অনলাইন ব্যবহার বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে করোনা আবহে চলতি বছরের দ্বিতীয় দফায় জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ জুমের মুনাফা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। আন্তর্জাতিক একটি বিজনেস পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাকালে জুমের ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে। চলতি বছরের মে-জুলাই মাসে জুমের আয় ৩৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৩.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
২০১৯ সালের তুলনায় চলতি বছর কোম্পানিটির মুনাফা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে ১৮৬ মিলিয়ন ডলার। একইসঙ্গে তাদের গ্রাহক সংখ্যা ৪৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর একমাত্র কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন৷ চলছে অনলাইন পঠনপাঠন৷ তাই জুমের মতো অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলোর চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে৷
একই সঙ্গে বেড়েছে জুমের শেয়ারের দাম। গত সোমবার দিনের শেষে সংস্থার শেয়ারের দাম ছিল ৩২৫.১০ ডলার। জুমের বার্ষিক আয় ৩০ শতাংশ থেকে বাড়তে চলেছে সেই ইঙ্গিত ছিল৷ অর্থাৎ বার্ষিক আয় ২৩৭ কোটি থেকে ২৩৯ কোটি ডলার হতে চলেছে৷ এই ইঙ্গিত মেলার পরই বাড়তে থাকে জুমোর শেয়ার দর৷ অথচ আগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল সংস্থার বার্ষিক আয় ১৭৮ কোটি থেকে ১৮০ কোটি ডলার হতে চলেছে৷
জুমের এই রেকর্ড মুনাফার পিছনে প্রধান কারণ হিসেবে অর্থের বিনিময়ে অনেক গ্রাহক তৈরি করা ছাড়াও চড়া দামে কর্পোরেট ক্লায়েন্ট তৈরির বিষয়টিকে তুলে ধরেছে৷ যা একই রকম পরিষেবার অন্য কোম্পানিগুলোর চেয়ে আলাদা। কারণ সেই সব কোম্পানি শুধু বিনামূল্যে তাদের গ্রাহকদের এই সুবিধা দিচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে গত মার্চ থেকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই লকডাউন জারি করা হয়৷ এর পর থেকে জুম ছাড়াও সিসকো ওয়েবএক্স এবং মাইক্রোসফট টিমসের মতো ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলোর গ্রাহক সংখ্যাও দ্রুত বাড়তে শুরু করে। তবে জুম ছিল বাকি অ্যাপগুলির চেয়ে ব্যতিক্রমী।