নয়াদিল্লি: পরপর ৩ দিন কমেছ সোনার দাম৷ ভারতীয় বাজারে সোনার দাম শুক্রবারে আরও কমল৷ সামনেই বাঙালির প্রাণের পুজো, আর তার আগেই সোনার দাম কমার এই ট্রেন্ড গৃহস্থের মনে জাগিয়ে তুলছে খুশির আবহ, যদিও, করোনা মাহামারীর আবহে সোনা কেনা কার্যত বিলাসিতা৷ করোনার কারণে যখন সংসার চালানো দায়, তখন সোনা কেনা তো স্বপ্নের৷ দাম কমলেও সেভাবে আর উৎসাহ দেখাচ্ছে না আমজনতা৷ আর তার জেরে বিনিয়োগকারী বা ব্যবসায়ীদের কিছুটা চিন্তায় পড়তে হচ্ছে৷
শুক্রবার এমসিএক্স সূচক ০.২৭ শতাংশ পড়ে যাওয়ায় প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৭৭১ টাকা। একইসঙ্গে রুপোর দামও কমেছে, এক্ষেত্রে সূচকে ০.৫ শতাংশ পতনের ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৫৯ হাজার ৩২৯ টাকা৷ এর আগে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে বেড়েছিল ৩০০ টাকা৷ অন্যদিকে কেজি প্রতি রুপোর দাম বেড়েছিল ১,০৬০ টাকা। সেখানে চলতি সপ্তাহেই সোনা ও রুপোর দাম এক ঝটকায় অনেকটাই কমেছে। হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম কমেছে ২০০০ টাকা এবং কেজি প্রতি রুপোর দাম কমেছে ৯০০০ টাকা।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দাম চড়ার কারণেই সোনার বাজারে ধস নামছে৷ তবে মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগই ক্ষতি সামলে দিতে পারে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷ ডলার অনুযায়ী শুক্রবার স্পট গোল্ড সূচকে ০.২ শতাংশ কমার ফলে আউন্স প্রতি সোনার দাম বর্তমানে ১,৮৬৪.৪৭ ডলার৷ চলতি সপ্তাহের নিরিখে ৪ শতাংশ দাম পড়েছে৷ রুপোর ক্ষেত্রে ১.১ শতাংশ সূচকে পতনের কারণে আউন্স প্রতি রুপোর দাম ২২.৯৫ ডলার। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বাজার এখনও চাঙ্গা না হলেও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে গণ্য সোনায় বিনিয়োগের হার কমেছে। অতিমারী পর্বের পরে আনলক পর্বে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরতে থাকায় বাজার চাঙ্গা হওয়ার আশা করছেন লগ্নিকারীরা।
কিন্তু এই সমস্ত কিছুর ফলে পণ্য চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় সোনার ইটিএফ বিনিয়োগে টান পড়েছে, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। কোটাক সিকিওরিটিজ’য়ের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান দাম পড়ার ট্রেন্ড মেনে বিবিধ চাপের মুখে সোনা ব্যবসা। সেক্ষেত্রে দামে আপাতত বিশেষ বৃদ্ধির আশা নেই৷