নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্য ও স্থূলতার প্রসঙ্গ উঠলেই কাঠগড়ায় তোলা হয় চিনিকে৷ অথচ সমগ্র বিশ্বে চিনির গ্রাহক হিসাবে সবার আগে উঠে আসে ভারতের নাম৷ দেশের বার্ধিত চাহিদা সামাল দিতে উৎপাদন বাড়ানোর নানা কৌশল নিচ্ছে দেশের মিলগুলি৷ এখানে চিনি খাওয়ার জন্যও উৎসাহিত করা হয় মানুষকে৷
আরও পড়ুন- ‘আর হবে না শিক্ষক নিয়োগ’, অডিও-ক্লিপ ফাঁস করে শিক্ষামন্ত্রীকে বিঁধলেন অনুপম
উচ্চ উৎপাদন অর্থাৎ খরচও বেশি৷ ভর্তুকি ছাড়া এই ব্যয়ভার সামলে বিশ্ব বাজারে চিনি বিক্রি করা বেশ ঝক্কির৷ তাদের উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চিনি কারখানাগুলি দেশীয় চাহিদা বাড়ানোর জন্য অনলাইন ক্যাম্পেন শুরু করেছে৷ এর মধ্যে রয়েছে ওয়ার্কশপ এবং ওয়েবিনার৷ যার মাধ্যমে পুষ্টিবিদ এবং এন্ডোক্রিনোলজিস্ট থেকে শুরু করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসক সকলেই নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিতে পারবেন৷ ভাগ করে নিতে পারবেন নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা৷ ভারতের সুগার মিল অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, ‘‘চিনি আমাদের মস্তিষ্ক ও পেশীর শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে৷ প্রতিটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা আমাদের দেহের কোষগুলির যথাযথ ক্রিয়া কলাপের জন্য দেহের জ্বালানীর সবচেয়ে পছন্দের উত্স৷ তারা আরও বলে, চিনিতে থাকা ক্যালোরিগুলি অন্য যে কোনও খাবারে থাকা ক্যালোরির সমান৷ যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি বার্ন হয় না এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে, কেবলমাত্র তখনই শরীরের ওজন বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন- বাংলার বেকারত্বে ফের অস্বস্তি, অক্টোবরে হার বেড়ে ১০%! বলছে সমীক্ষা
অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ভারতে প্রতি বছর মাথাপিছু ১৯ কিলো চিনি খরচ হয়৷ সেখানে বিশ্বে মাথা পিছু এই হার ২৩ কিলো৷ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচার করা হয়, ক্যান জাতীয় মিষ্টি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক৷ মানুষকে তা খাওয়া থেকে নিরুৎসাহিতও করা হয়৷
অন্যদিকে, ভারত বিশ্বে দ্বিতীয় বহত্তম চিনি বিক্রেতাও বটে৷ ২০১৯-২০ সালে ভারত থেকে ৫.৬৪ মিলিয়ন টন চিনি বিদেশে রফতানি করা হয়েছিল৷ মিলগুলির লক্ষ্য ২০২০-২১ সালে ৬ মিলিয়ন টন চিনি রফতানি করা৷