নয়াদিল্লি: ডোনাল্ট ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউজের দখল নিয়েছেন সেদেশের ড্যামোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যেই শুভেচ্ছা বার্তা জানানো হয়েছে আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্টকে। সেই সঙ্গে সেদেশের বাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত কমলা হ্যারিস। তবে নয়া প্রেসিডেন্ট সেদেশের কর্পোরেট কর বাড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে করের বোঝা হাল্কা করতে সেখানকার সংস্থাগুলি ভারতের মতো দেশে লগ্নি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্থিক বছরের ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেট ট্যাক্স অ্যাডভাইজার রাজেন্দ্র নায়েক মনে করেন,”জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন আমেরিকায় কর্পোরেট করের হার ২১ শতাংশ থেকে বেড়ে হতে পারে ২৮ শতাংশ, বর্তমানে ভারত কর্পোরেট করের হরা কমানোয়, মার্কিন সংস্থাগুলির গন্তব্য হতে পারে ভারত”। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যে সমস্ত সংস্থা সবরকম ছাড় এবং ইনসেনটিভ ছেড়ে দিয়েছে, তাদের জন্য কর্পোরেট করের হার কমিয়ে ২২ শতাংশ করেছে ভারত। কোনওরকম ছাড় নিলে কর্পেরেট করের হার করা হয়েছে ২৫.১৭ শতাংশ। তবে যাই হোক, উৎপাদন ক্ষেত্র সহ সবরকম নতুন সংস্থার বিনিয়গের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর্পোরেট কর ধার্য করা হয়েছে। এই হার আগে ছিল ৩০ শতাংশ। ফলে কর্পোরেট করের হার কমায় মার্কিন সংস্থাগুলি বারতে বিনিয়োগে ঝুঁকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কর বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মার্কিন মুলুকে কর্পোরেট করের হার বাড়লে শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনয়োগের দিক থেকেই নয়, ভারত লাভবান হতে পারে মার্কিন মুলুকের সংস্থাগুলির থেকে, যারা ভারতের মতো ভিন্ন দেশে সংস্থার শাখা খুলে বিনিয়োগের মাধ্যমে নিজেদের মুনাফা বৃদ্ধিতে তৎপর হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ছিলেন কর্পেরোট করের হার কমানোর ক্ষেত্রে। অন্যদিকে, জো বাইডেন বর্তমান কর্পোরেট করে হার ২১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৭-২৮ শতাংশ করার পক্ষে। বিশেষজ্ঞঋরা মনে করছেন, প্রচারে ইস্তেহারে উল্লেখ করা বিভিন্ন প্রস্তাব এবং প্রতিশ্রুতি ও সেগুলিকে বাস্তবায়ন করাই হবে জো বাইডেনের বড় চ্যালেঞ্জ। পর্যবেক্ষকদের দাবি, সেনেট এ প্রাপ্ত ভোট বেশি রয়েছে রিপাবলিকানদের। সেক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনা করেই এগোতে হবে ডেমোক্র্যাট জো বাইডেনকে।