অন্য নাম দিয়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত? কেন্দ্রীয় বিজেপির নির্দেশেই রাজ্যসভায় প্রার্থী শমীক!

অন্য নাম দিয়েছিলেন শুভেন্দু-সুকান্ত? কেন্দ্রীয় বিজেপির নির্দেশেই রাজ্যসভায় প্রার্থী শমীক!

suvendu

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যসভায় বাংলা থেকে বিজেপির প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছিল। সূত্রের খবর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত নাম পাঠিয়েছিলেন সেখান থেকে কাউকে ঠিক করেননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বদলে তাঁরা প্রার্থী করলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে। দীর্ঘদিনের আনুগত্যের পুরস্কার পেলেন প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ও দলের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। পুরনো মুখ শমীক ভট্টাচার্যেই আস্থা রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাই রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র, দলের দীর্ঘদিনের কর্মী ও নেতা, সুবক্তা শমীককে বেছে নিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। একটি সূত্রে খবর, সংঘ পরিবারের সুপারিশেই শমীককে রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে। রাহুল সিংহ যখন রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন তখন থেকেই রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন শমীক। যে কোনও বিষয়ে দলের অবস্থান সাবলীল ভাষায় জানাতে পারেন শমীক। আজ পর্যন্ত কোনও দল বিরোধী কথা বলতে শোনা যায়নি তাঁকে। দলের প্রতি দীর্ঘদিন যে আনুগত্য দেখিয়ে এসেছেন তারই পুরস্কার পেলেন তিনি।

শমীক ভট্টাচার্য প্রথম ব্যক্তি যিনি বিজেপির একক শক্তিতে বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। যা নিঃসন্দেহে বেশ কৃতিত্বের। পরবর্তীকালে রাজ্যে বিজেপির শক্তি আরও বেড়েছে এবং একুশের নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি প্রধান বিরোধী দলের সম্মান ও মর্যাদা পেয়েছে। তবে গত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে জিততে পারেননি শমীক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরে যে অবদান তিনি রেখেছেন তা বিচার করেই শমীক ভট্টাচার্যকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে খুশি রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র। এ বিষয়ে শমীক বলেছেন,”দল আমাকে রাজ্যসভায় মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি দলের কাছে, আমার সংগঠনের কাছে কৃতজ্ঞ‌। এটা সম্ভব হয়েছে পশ্চিমবাংলার মানুষ আমাদের সেই সংখ্যা দিয়েছে, যাতে রাজ্যসভায় আমরা আরও সাংসদ পাঠাতে পারি। তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থে, দলের মতাদর্শে কাজ করব।”

রাজ্য বিজেপিতে দীর্ঘদিন ধরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে। তাই সুকান্ত ও শুভেন্দু প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম প্রস্তাব করেছিলেন তাঁদের নাম বিশেষ কারণে বিবেচনার মধ্যে আনেননি কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব, এমনটাই সূত্রের খবর। তাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। তাই সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও শিবির ভুক্ত নন, অর্থাৎ যিনি এতদিন রাজ্য বিজেপিতে ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থান নিয়ে চলে এসেছেন সেই শমীকেই আস্থা রেখেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *