নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষের জন্য নতুন বিমা প্রকল্প নিয়ে আসার পথে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অন্য কোনও বিপর্যয়ে বাঁচাবে এই স্ট্যান্ডার্ড বিমা পলিসিটি। কেন্দ্রীয় বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ‘ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)’-এর তরফে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা থেকে শুরু করে বেসরকারি সংস্থা প্রত্যেকটি সংস্থাকেই এই বিমা পরিষেবা চালু করতে হবে।
গত বছর নিসর্গ ও আমফানের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও বেশকয়েকটি ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা অনেকটাই। ক্ষতিগ্রস্ত বহু সাধারণ মানুষ। ঘরছাড়া হয়ে বেশিরভাগ মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষকে এই সর্বশান্ত হওয়া থেকেই বাঁচাবে কেন্দ্রীয় বিমা পরিষেবা। বিশেষত এই বিমা মানুষের বাড়ির বিমা। তাই প্রকল্পটির নাম দেওয়া হবে ‘ভারত গৃহ রক্ষা’। এই বিমান প্রকল্পটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক ঘটনা ও অন্যান্য অবাঞ্ছিত ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দেবে। সাইক্লোন, হ্যারিকেন, টাইফুন, অগ্নিকাণ্ড, সুনামি, বন্যা, ভূমিকম্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মিলবে। এছাড়া সন্ত্রাসবাদী হামলা, ধর্মঘট, বিস্ফোরণেও ক্ষতিপূরণ দেবে আইআরডিএআই।
আইআরডিএআই জানিয়েছে, “গৃহ রক্ষা বিমা বলে বাড়ির কোনোরকম ক্ষতি হলেই শুধু টাকা মিলবে তা নয়। বাড়ির অন্দরমহলের কোনও জিনিসের ক্ষতি হলে সেক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে। তবে যে অঙ্কের বিমান করানো হয়েছে, বাড়ির ভিতরের কোনও দ্রব্যের জন্য তার ২০ শতাংশ পর্যন্তই পাওয়া যাবে এবং তার সর্বাধিক মাত্রা ১০ লক্ষ টাকা। কোনও ব্যক্তি চাইলে জিনিসপত্রের জন্য বেশি অঙ্কের বিমাও করাতে পারেন। তবে এর জন্য সবসময় বাড়িতে থাকা জিনিসপত্রের তালিকাও জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, যে ব্যক্তি তার বাড়ির জন্য বিমা করাচ্ছেন, তাঁর যেকোনও শারীরিক অসুস্থতাতেও ক্ষতিপূরণ দেবে বিমা সংস্থা।