তেহেরান: রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের ৫১ নম্বর ধারার উল্লেখ করে ইরান বলছে, আত্মরক্ষার স্বার্থেই এই আক্রমণ৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি তাই? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ৷ শনিবার রাত থেকেই ইজরায়েলের আকাশে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্রের আনাগোনা। যদি তা সত্ত্বেও ইজরায়েলের গায়ে আঁচড় কাঁটা সম্ভব হয়নি তেহেরানের পক্ষে৷ কারণ নেতানইয়াহুর দেশ নিজেদেরকে মুড়ে ফেলেছে লোহার বর্ম দিয়ে৷ তবে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন ইজরায়েলের প্রতি ইরানের ক্ষোভের কারণটা এখনকার নয় বরং অনেক আগের৷
সেজন্যই আজ মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে ঘনিয়েছে যুদ্ধের মেঘ৷ প্রথম থেকেই গাজার ওপর ইজরায়েলের ধ্বংসাত্মক হামলাকে ভালোভাবে নেয়নি ইরান। তেহরানের তরফে বারবার প্যালেস্তিনীয়দের উপর হামলার নিন্দা করা হয়। তবু কোনওমতেই পিছু হটেনি তেল আভিভ। বরং তারা আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ায়। ইজরায়েলকে শায়েস্তা করতে চেয়েছিল প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। পিছন থেকে মদত জোগাচ্ছিল তেহরান। তারা তা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও ধরে নেওয়া যায়৷ কিন্তু সুবিধা করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞের মতে ইজরায়েল ইরানের এই উদ্দেশ্যকে যেভাবে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে৷ সেজন্যই রাগে ফুঁসছিল ইরান। এটা তারই বদলা বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷