police
নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধী দলকে সন্দেশখালির ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। কাউকে কুড়ি কিলোমিটার, কাউকে ষাট কিলোমিটার দূরে আটকে দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু তৃণমূলের বেলায় সাত খুন মাফ কেন? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। বুধবার রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টাকির হোটেল থেকে এমনটাই অভিযোগ করেছেন। ইছামতী নদীর তীরেই এদিন সরস্বতী পুজো করেন সুকান্ত। পুজো করতেও বাধা দিয়েছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির।
সুকান্ত বলেছেন,”তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্য, মন্ত্রীরা ন্যাজাট থানা এলাকায় ঢুকলেন কি করে? তাঁদের বেলা ১৪৪ ধারা কি কার্যকর করা হবে না? যত দোষ কি বিরোধীদের?” যদিও এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারছে না পুলিশ। বিজেপির দাবি কলকাতা হাইকোর্ট ১৪৪ ধারা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তাদের সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘটনা হল বুধবার নতুন করে সন্দেশখালির একাধিক এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। বিজেপি তথা বিরোধীদের দাবি তাদের আটকাতেই তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশের এই পদক্ষেপ।
১৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল সভা করবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তার পরে যদি তৃণমূলের পাশাপাশি বিরোধীরাও সভা করতে চায় তাদেরকেও কি অনুমতি দেওয়া হবে? নাকি তাদের আটকে দেবে পুলিশ? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। সবমিলিয়ে সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে যে নাটক গত কয়েকদিন ধরে চলছে তা যেন শেষ হওয়ার নয়। সকলেই দেখেছেন মঙ্গলবার তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ মজুমদার-সহ তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব সন্দেশখালিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি যে এলাকায় তাঁরা গিয়েছেন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি ছিল না। কিন্তু প্রশ্ন হল ওই একই এলাকায় যদি বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা যান তাঁদেরও কি যেতে দেওয়া হবে? এর সদুত্তর কি আদৌ পাওয়া যাবে?