opposition
নিজস্ব প্রতিনিধি: সন্দেশখালি ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম বিষয়টি নিয়ে সুর চড়াচ্ছে। বসিরহাটে বিজেপি ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছে। একই ভাবে সেখানে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বহরমপুর টেক্সটাইলস মোড়ে সিপিএম তথা বামেদের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে যায়। সব মিলিয়ে এই ইস্যুতে ব্যাকফুটে তৃণমূল। বিরোধীরা যে বিক্ষোভ কর্মসূচি বা সন্দেশখালি চলোর ডাক দিয়েছে তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এগুলি কি ভোটবাক্সে বিরোধীদের পক্ষে যাবে? নাকি আগের মতোই সন্দেশখালি বিধানসভা যে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সেই বসিরহাটে তৃণমূল বিপুল ব্যবধানে জিতবে? বিরোধীরা কি সেখানে সামান্যতম লড়াই করতে পারবে? এই চর্চা গত কয়েকদিন ধরে চলছে।
বহুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধীরা মাঠে ময়দানে থাকলেও ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়ছে না। সেখানে ঠিক বাজিমাত করে বেরিয়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবারেও কি একই ঘটনা ঘটবে? ঘটনা হল গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালিতে কার্যত নব্বই শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। সেখানে শেখ শাহজাহানের এতটাই দাপট দেখা গিয়েছে যে বিরোধীরা মনোনয়ন পর্যন্ত জমা দিতে পারেননি, এমনটাই অভিযোগ। তাই তৃণমূলের দুর্গে পরিণত হওয়া সন্দেশখালির মানুষ এভাবে যে বিক্ষোভ দেখাবেন সেটা শাসক দল ভাবতে পারেনি। এই বিষয়টি নিশ্চিত ভাবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে তাদের। তবে কি সন্দেশখালিতে তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে? সেখানে দ্রুত উঠে আসছে বিরোধীরা? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই উঠছে। যেভাবে টানা বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছেন গ্রামবাসীরা, তা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে জল মাপতে মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে গিয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে তৃণমূল সভা করতে চলেছে বলে খবর। তৃণমূল সধহয় মানুষের পাশে আছে, এই বার্তাই দিতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। যদিও প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজির এখনও গ্রেফতার হননি। আর শেখ শাহজাহান তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এখনও তিনি বেপাত্তা। সবমিলিয়ে সন্দেশখালিতে যেভাবে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে তা দ্রুত মিটবে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাই এর প্রভাব ভোটবাক্সে কতটা পড়ে সেটাই দেখার।