কলকাতা: সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করছেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য৷ এ বার পরীক্ষায় বসেছিলেন ৭,৬৪,৪৪৮ পড়ুয়া। পাশ করেছেন ৬,৭৯,৭৮৪জন৷ অর্থাৎ পাশের হার ৯০ শতাংশ৷ শহর কলকাতাকে পিছনে ফেলে পাশের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর৷ সংসদ সভাপতি জানান, ১৫ টি জেলা থেকে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন। যার মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ৩৫ জন এবং ছাত্রী ২৩ জন।
এই ৫৮ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া রয়েছে হুগলিতে- ১৩ জন, বাঁকুড়া থেকে ৯ জন, দক্ষিন ৭ জন, কলকাতা থেকে ৫ জন, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, কোচবিহার এবং মালদহ থেকে ৩ জন রয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হারে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন অভীক দাস। আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র তিনি। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন- সাম্যদীপ সাহা। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র। তিনি পেয়েছেন ৪৯৫।
তৃতীয় স্থানাধিকারী- অভিষেক গুপ্ত, মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
চতুর্থ হয়েছেন- প্রতীচী রায় তালুকদার। কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। তাঁর সঙ্গে যুগ্মভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন- চন্দননগরের কৃ্ষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দিরের স্নেহা ঘোষ। তাঁরা পেয়েছেন ৯৮.৬ শতাংশ নম্বর।
পঞ্চম- কন্টাই হাইস্কুলের ছাত্র সায়ন্তন মাইতি। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২। এছাড়াও পঞ্চ স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়ার সুস্বতি কুণ্ডু, মালদহের সুপ্তথিতা সরকার, কলকাতার সৌনক কর, শান্তিনিকেতনে সানন্দা রায়৷ ৪৯২ পেয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অঙ্কিত পাল এবং অর্নব করও।
ষষ্ঠ- ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন চার জন পড়ুয়া। হুগলির মাহেশ রামকৃষ্ণ মিশনের রুদ্র দত্ত, নরেন্দ্রপুরের নিলয় চট্টোপাধ্যায়, কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির মনুশ্রী চন্দ, হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অভ্রকিশোর ভট্টাচার্য৷ তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১।