আর কোথায় বাধা? ‘কাকু’র রিপোর্ট জমা পড়ায় মাথা জালে আসবে বলে জল্পনা তুঙ্গে!

আর কোথায় বাধা? ‘কাকু’র রিপোর্ট জমা পড়ায় মাথা জালে আসবে বলে জল্পনা তুঙ্গে!

নিজস্ব প্রতিনিধি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের ফরেনসিক নমুনার রিপোর্ট বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে পেশ করেছে ইডি। ইডি স্পষ্ট জানিয়েছে নমুনার রিপোর্ট ‘কাকু’র কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কী এই তদন্তের সূত্র ধরে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী, অর্থাৎ ‘মাথা’ ধরা পড়বেন? আর সেই নাম এমন কেউ হবেন যাতে রাজ্য রাজনীতিতে ভূমিকম্পের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা পড়ে যাওয়ায় আর কোনও বাধা থাকল না। এবার তদন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে বলে সকলেই মনে করছেন। আর তাতেই বড় ‘মাথা’র খোঁজ পাওয়া যাবে বলে বিরোধীদের দাবি।

 

লোকসভা নির্বাচনের আগে পরপর এমন ঘটনা ঘটছে যা শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করে। সদ্য কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার জন চাকরি খুইয়েছেন। এর মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল সুজয় কৃষ্ণের ফরেনসিক নমুনা রিপোর্ট। ঘটনা হল সুজয় কৃষ্ণের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে বহু টানাপড়েন হয়েছে মাসের পর মাস ধরে। অবশেষে গত ৩ জানুয়ারি সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পেরেছিল ইডি। সেদিন একাধিক সাক্ষী, চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে জোকার ইএসআই হাসপাতালে সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সাউন্ড প্রুফ ঘরে। সেই রিপোর্ট সপ্তাহ খানেক আগে ইডি দফতরে এসে পৌঁছয়। অবশেষে বুধবার সেটি জমা পড়ল হাইকোর্টে।

 

বিরোধীদের অভিযোগ নিয়োগ মামলায় ধৃত সুজয় কৃষ্ণ ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ওঠাবসা ছিল। তাই তাঁকে চেপে ধরলে আরও বহু তথ্য উঠে আসবে বলে বিরোধীদের দাবি। এই পরিস্থিতিতে জেল হেফাজতে থাকা সুজয় কৃষ্ণকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছে সিবিআই। এই মর্মে আদালতের কাছে আবেদনও জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। সবমিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শীঘ্রই নয়া মোড় আসতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *