নয়াদিল্লি: বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি তিনি, অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয় সংস্থা আমাজনের প্রধান জেফ বেজোস। কিন্তু কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের (CEO) পদ থেকে এবার ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনিই। ধনীতম ব্যক্তির এই আচমকা সিদ্ধান্তে কার্যত হতবাক গোটা বিশ্ব।
গতকাল হঠাৎই নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান ৫৭ বছর বয়সী আমাজন কর্ণধার জেফ বেজোস। শোনা যাচ্ছে, তাঁর এহেন আকস্মিক সিদ্ধান্তে চমকে গেছেন তাঁর সংস্থার অভ্যন্তরেরই অনেকে। নিজের পদত্যাগকে অবশ্য অবসর গ্রহণ বলতে রাজি নন এই মার্কিন ধনকুবের। তিনি জানিয়েছেন সিইও’র পদ থেকে ইস্তফা দিলেও কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যানের পদটিই ভবিষ্যতের জন্য বেছে নিয়েছেন জেফ বেজোস।
জেফ বেজোসের পর আমাজনের মতো বিশ্ব মানের সংস্থার দায়িত্ব কে নেবেন? কে হবেন তাঁর উত্তরসূরি? কর্ণধারের ইস্তফার সিদ্ধান্তের পর এ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল আমাজনের অন্দরে। সূত্রের খবর, আগামী দিনে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন অ্যান্ডি জেসি। বর্তমানে আমাজনের ওয়েব সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন তিনি। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়েই তাঁর হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হতে পারে।
গতকাল নিজের সংস্থার কর্মীদের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান আমাজন কর্ণধার জেফ বেজোস। তিনি বলেন, “এতদিন আমি সিইও’র পদে থেকে অ্যামাজনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলেছি। ফান্ডও জোগাড় করেছি। এখন থেকে নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে আমি কাজ করব।” কেন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন? তা অবশ্য বিশেষ খোলসা করেননি বেজোস। জানিয়েছেন, এবার থেকে বেজোস আর্থ ফান্ড, ব্লু অরিজিন, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিজের অন্যান্য আগ্রহের বিষয়গুলির জন্য কিছুটা বাড়তি সময় পাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মেক্সিকোর অধিবাসী জেফ বেজোসের হাত ধরেই ১৯৯৪ সালে শুরু হয় আমাজনের যাত্রা। গত ৫ বছরে সংস্থার সম্পত্তির পরিমাণ বেড়ে গেছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। সম্প্রতি একটানা বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির খেতাব জেতা বিল গেটসকে সম্পত্তির নিরিখে পিছনে ফেলে দেন তিনি। জিনে নেন তালিকার প্রথম স্থান।