সরকারি চাকরি মানেই নিশ্চিত আয়? চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের নয়া নিয়ম!

সরকারি চাকরি মানেই নিশ্চিত আয়? চিন্তা বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের নয়া নিয়ম!

imagesmissing

নয়াদিল্লি: এই দুর্মূল্যের বাজারে একটা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি জুটে যাওয়া মানে সারাজীবনের মতো নিশ্চিন্ত, এমনটাই ছিল প্রচলিত ধারণা। কিন্তু এই ধারণাতে এবার আসতে চলেছে বদল। কেন্দ্রের মোদী সরকারের নয়া ভাবনা, যথেষ্ট কাজ করলেই বহাল থাকবে চাকরি। আর চাকরিতে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হলে সুযোগ পাবেন নতুনরা।

জানা গেছে, কেন্দ্র সরকারের যুগ্ম সচিব এবং ডাইরেক্টরের পদে নিয়োগের জন্য শুরু হয়েছে প্রক্রিয়া। ল্যাটারাল রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ায় এই নিয়োগ চলছে। আর এতেই প্রযুক্ত হচ্ছে সরকারের নতুন নিয়ম। প্রাথমিক ভাবে ৩ বছরের চুক্তিতে চাকরিতে যোগ দিলেও, কর্মচারীদের দেখাতে হবে কাজ। কাজ দেখে সরকার সন্তুষ্ট হলে তবেই চুক্তির মেয়াদ বাড়তে পারে আরও দু’বছর। আগামী ২২ মার্চের মধ্যে এই ব্যাপারে জমা দিতে হবে আবেদন পত্র।

কেন্দ্র সরকারের যুগ্ম সচিব এবং ডাইরেক্টরের পদে বেতন যথাক্রমে বছরে ২০ লক্ষ এবং ১৫ লক্ষ টাকা।  কাজ অনুযায়ী চাকরির মেয়াদের বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারি ক্ষেত্রে আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। কিন্তু এতদিন এ বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হত না। সরকারের তরফ থেকে এবার এ বিষয়ে অবস্থান খানিক কড়া হচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি ইতিমধ্যে রেল সংসদ সহ সরকারি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকরও হয়েছে। আর বলা বাহুল্য তাতে কেন্দ্র সরকারি চাকুরেদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।

চাকুরিরত ব্যক্তিদের চিন্তা বাড়িয়েছে ল্যাটারাল রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া। কারণ এর ফলে চাকরি চলে যাওয়ায় যে শূন্য পদ সৃষ্টি হচ্ছে, তাতে আবার পরীক্ষা দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে কর্মরতদের জায়গা অনিশ্চিত। কাদের উপর প্রযুক্ত হচ্ছে এই নয়া নিয়ম? সূত্রের খবরে জানা গেছে, মূলত ৫০ থেকে ৫৫ বছর বয়স, কিংবা চাকরি ক্ষেত্রে ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা পেরোলেই সরকারের নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। অর্থাৎ, চাকরিতে যোগ দিলেই যে ৬০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্ত জীবন, তা আর এখন বলা যাবে না। উল্লেখ্য, ল্যাটারাল রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়ায় কোনো কোটা বা সংখ্যালঘু সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না। কাজে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন  যে কোনও ব্যক্তিই এতে আবেদন করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *