নয়াদিল্লি: দেশ জুড়ে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। দিল্লিসহ দেশের বড় বড় শহরগুলিতে পেট্রোল ডিজেলের দাম গড়েছে সর্বকালীন বৃদ্ধির রেকর্ড। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ভিত্তিতে এই দাম ওঠানামা করে থাকে। তাই সরকারের দিকে সরাসরি আঙুল তোলা যায়নি। কিন্তু সত্যিই কি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে অপারগ কেন্দ্র সরকার?
বস্তুত, পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজধানীতে ২০১৪ সালে পেট্রোলের যে দাম ছিল এখন তার সঙ্গে তৈরি হয়েছে আকাশ পাতাল ফারাক। কিন্তু এর সব দায়টুকুই হয়তো আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যবৃদ্ধির উপর বর্তায় না। কারণ পরিসংখ্যান বলছে পেট্রোলের মূল দাম এই প্রায় ৭ বছরের সময়কালে কমে গেছে। বরং বেড়েছে কেন্দ্র প্রযুক্ত করের বোঝা।
২০১৪ সালে দিল্লিতে কর ছাড়া পেট্রোলের দাম ছিল ৪৭.৭২ টাকা। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দাম নেমে দাঁড়িয়েছে ২৯.৩৪ টাকায়। কিন্তু রাজধানীতে এই মুহূর্তে পেট্রোলের দাম শুনলে পকেটে ছ্যাঁকা লাগতে বাধ্য মধ্যবিত্তের। প্রতি লিটার পেট্রোল সেখানে প্রায় ৯০ টাকার কাছাকাছি দামে বিকোচ্ছে। এর কারণ হল এই ৭ বছরে ১৩৩% বেড়ে করের পরিমাণ ২৪.২৯ টাকা থেকে হয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৫৯ টাকা। কেন্দ্র প্রযুক্ত কর বেড়েছে ২১৭%। দেশের জ্বালানি তেলের ইতিহাসে এই মূল্যবৃদ্ধি এবং কর বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে নজিরবিহীন।
২০১৪ সালে কংগ্রেসকে পরাজিত করে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর পরিচালিত বিজেপি সরকারের আমলে কেন জ্বালানি তেলে প্রযুক্ত করের পরিমাণ এভাবে বাড়িয়ে দেওয়া হল? উঠেছে প্রশ্ন। আজ মঙ্গলবার নিয়ে একটানা ৮ দিন ধরে পেট্রোল ডিজেলের দামের সূচক উর্দ্ধমুখী। যেই হারে ক্রমশ দাম বাড়ছে তাতে একদিন জ্বালানি তেল সেঞ্চুরি হাঁকাবে বলেও মনে করছেন সাধারণ মানুষ।