কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ

কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে বিপুল বেসরকারি বিনিয়োগ

imagesmissing

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের দুটি বিশেষ আন্তর্জাতিক বন্দর কলকাতা ও হলদিয়াকে কেন্দ্র করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ২৫ হাজার কোটি টাকার বেসরকারি বিনিয়োগের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী বন্দর কর্তৃপক্ষ। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই ব্যাপারে কয়েকটি বেসরকারি বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতাপত্র সাক্ষরিত হয় এসএমপি’র। 

পাশাপাশি এদিন এসএমপি’র চেয়ারম্যান বিনীত কুমার সাংবাদিকদের জানান, বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ে এখনো অব্দি প্রায় ৩৫ টি মৌ সাক্ষরিত হয়েছে। তিনি এদিন এও জানান যে, আগামী ২-৪ মার্চ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্বিতীয় ইন্ডিয়ান মেরিটাইম সামিট অনুষ্ঠিত হয়ে চলেছে, যেখানে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে বিনিয়োগের কথা তুলে ধরা হবে। বিনীত কুমার এই প্রসঙ্গে মনে করেন, এই সামিটের মাধ্যমে এই দুই বন্দরের উপর বিনিয়োগের পরিমান হয়ে দাঁড়াবে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, এই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ভার্চুয়াল বৈঠকের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকে দেশ ও বিদেশের বহু নামিদামি বিনিয়োগকারী সংস্থা যোগদান করবে।

বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে এসএমপি’র চেয়ারম্যান বিনীত কুমার তাজপুর গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রসঙ্গে বলেন যে, এই ব্যাপারে অংশগ্রহণের জন্য রাজ্য সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং  তাজপুর বন্দর নির্মাণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা বন্দরের যৌথ উদ্যোগে গঠিত ‘স্পেশাল পারপাস ভেহিকেলস’এর অস্তিত্ব এখনো রয়েছে। তবে তাজপুর বন্দর নির্মাণ হলেও সেখানে এসএমপি’র ভূমিকা কতটা থাকবে সে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।

তবে আপাতত তাজপুরের থেকে কিছুটা নজর সরিয়ে কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরের উন্নয়নে নজর দিয়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। এই প্রসঙ্গে খিদিরপুরে একটি ‘ড্রাই ডক’ নির্মাণের জন্য গার্ডেনরিচ ডকইয়ার্ডের সঙ্গে একটি মৌ হয়েছে বলে এদিনের বৈঠকে জানান এসএমপি’র চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। পাশাপাশি কলকাতা বন্দরের নেতাজি সুভাষ ডকে ‘ড্রাই ডক’ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোচিন বন্দরের সঙ্গে সমঝোতার ক্ষেত্রেও সাড়া মিলেছে বলে এদিন তিনি জানান। এছাড়াও পাঞ্জাব থেকে ডানকুনি পর্যন্ত সরাসরি রেললাইন ‘ইস্টার্ন ফ্রেইট করিডর’ নির্মাণের পর হলদিয়া বন্দরে পণ্য পরিবহন আরো সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছে এসএমপি। এদিনের বৈঠকে এসএমপি চেয়ারম্যান আরো জানান যে, অভ্যন্তরীণ জাতীয় জলপথ দিয়ে এলপিজি নিয়ে যাওয়া হবে এবং এই বিষয়ে হলদিয়া পেট্রকেমিক্যালসের সঙ্গেও একটি মউ হয়েছে। এছাড়াও এসএমপি’র উদ্যোগে তারাতলায় বন্দরের নিজস্ব হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং নন্দীগ্রামের কাছে জেলিংহ্যামে বেসরকারি উদ্যোগে প্রকল্প হবে বলে চেয়ারম্যান বিনীত কুমার এদিন জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *