নয়াদিল্লি: আপনি কি ভাড়া বাড়িতে থাকেন? আপনার বাড়িওয়ালা কি আপনাকে বলেছেন তাঁর গৃহবিমা করা আছে? আর সেই শুনে ভাড়াটে হিসেবে বিমা নিয়ে আপনি নিজে আর মাথা ঘামাননি? তাই যদি করে থাকেন, তবে কিন্তু ভুল করেছেন। কারণ ভাড়া বাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে গৃহবিমা সম্বন্ধীয় অন্যতম সাধারণ ভুল ধারণা এটাই।
বস্তুত, গৃহবিমা করানোর উদ্দেশ্য হল, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ অর্থাৎ ঝড়-বৃষ্টি , বন্যা কিংবা ভূমিকম্পে বাড়ি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়,তবে বিমার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়। কিন্তু আসল কথা হল, যদি ভাড়া বাড়ির বাড়িওয়ালার গৃহবিমা করা থাকেও, তা কেবল তাঁর নিজের অংশের জন্যেই প্রযোজ্য হয়, ভাড়ার অংশের জন্য নয়। সুতরাং বন্যা বা ভূমিকম্পের মতো কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় যদি ঘটে যা বাড়ির ক্ষতি করতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে বাড়িওয়ালাই কেবল পাবেন ক্ষতিপূরণ, ভাড়াটে নয়। বাড়িওয়ালা যদি গৃহবিমার ক্ষেত্রে একটি স্ট্রাকচার প্লাস কনটেন্ট ইনসিওরেন্স কভার কিনে থাকেন তবে শুধু বাড়ি নয়, নিজের ক্ষতিগ্রস্ত জিনিসপত্রের জন্যেও ক্ষতিপূরণ পাবেন তিনি।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ভাড়াটের যদি গৃহবিমা করা না থাকে, তবে দুঃসময়ে তাঁদের পাশে কাউকেই পাওয়া যাবে না। ঘোর সংকটের মুখোমুখি হবেন তাঁরা। তাই নিজের বাড়ি নয়, ভাড়া বাড়ি, শুধুমাত্র সেই কারণে বাড়ির সুরক্ষা নিয়ে ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন নেই, এই ধারণা একেবারেই ভুল। বিপদ এড়াতে গৃহবিমা করিয়ে রাখা উচিত সমস্ত ভাড়াটেরও। এক্ষেত্রে অবশ্য নিজের বাড়ি না হওয়ায় ভাড়াটে স্ট্রাকচার অনলি প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন না। তাঁকে কিনতে হবে কনটেন্ট অনলি প্রোডাক্ট। এর মাধ্যমে টিভি, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার, মাইক্রোওয়েভ, ল্যাপটপ এমনকি গয়নাগাটির সুরক্ষাও পাওয়া যায়।
শুধু বাড়িওয়ালাই নন, ভাড়াটেরাও গৃহবিমার নানাবিধ ফায়দা তুলতে পারেন। যেমন, তাঁরা বাড়িতে চুরি-ডাকাতি হলে গৃহবিমায় ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। ভাড়াবাড়িতে তালা দিয়ে যদি কেউ দীর্ঘদিন বাইরে থাকতে চান তবে গৃহবিমার ফলে তিনি নিশ্চিন্তে তা করতে পারেন। সুতরাং নিজের বাড়ি হোক বা ভাড়াবাড়ি, গৃহবিমা সকলের জন্যেই আবশ্যিক।