নয়াদিল্লি: মাস দেড়েক আগে চলতি অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছেন সংসদীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন। মোদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের যা হিরিক শুরু হয়েছে, বাজেটে তাকেই আরো জোরদার করেছেন অর্থমন্ত্রী। জানিয়েছেন খুব শিগগিরই শুরু হবে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া। কিন্তু সরকারের এই নীতি একেবারেই মানতে নারাজ ব্যাঙ্ক কর্মীরা। আর তারই ফলশ্রুতিতে আজ থেকে আগামী ৪৮ ঘন্টা বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক।
বাজেটে উল্লিখিত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ১৫ ও ১৬ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হচ্ছেন প্রায় ১০ লাখ কর্মচারী, এমনটাই জানা গেছে সূত্রের খবরে। এই ধর্মঘটের ফলে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলা, জমা দেওয়া চেক ক্লিয়ার বা লোন গ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ বাঁধাপ্রাপ্ত হবে। ব্যাঙ্ক গুলির তরফে ইতিমধ্যে গ্রাহকদের এই ধর্মঘটের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,শনি- রবির পরেই সোম- মঙ্গল ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার ফলে একটানা চারদিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। ফলে বিপাকে পড়তে চলেছেন অসংখ্য গ্রাহক।
অবশ্য ধর্মঘটের দিনগুলিতে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকলেও যাতে অন্যান্য পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে চলে, তার দিকে নজর রাখছে কর্তৃপক্ষ। গ্রাহকদের জানানো হয়েছে সে কথাও। ঠিক কী কারণে এই ধর্মঘট? জানা গেছে, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণে কর্মীদের ক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি। কিন্তু গত ৪ মার্চ, ৯ মার্চ এবং ১০ মার্চের সেই বৈঠকে কোনো কাজের কাছ হয়নি। সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাঙ্ক সংগঠনগুলি। তারা জানিয়েছে, সরকার যদি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে তবে ধর্মঘটের সিদ্ধান্তও বাতিল করবেন তারা। কিন্তু এমন কোনো কথাই বলেনি কেন্দ্র সরকারের প্রতিনিধি।
এ প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি সি এইচ ভেঙ্কটচালাম জানিয়েছেন, “ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ মানুষের সঞ্চয়কে ঝুঁকির মুখোমুখি দাঁড় করাবে। প্রাইভেট ব্যাঙ্কে সার্ভিস চার্জ অনেক বেশি। সেখান থেকে সহজে লোনও পাওয়া যাবে না।” ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্কও।