নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা হোক কিংবা দুর্ঘটনা, এমনকি প্রাকৃতিক বিপর্যয়েও কখনো কখনো পড়তে হয় সমূহ বিপদে। আর যে কোনো কারণেই হোক, আকস্মিকভাবে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন মেটাতে জুড়ি নেই ব্যক্তিগত লোন (personal lone) ব্যবস্থার। এই ধরণের ঋণ নিলে জরুরিকালীন পরিস্থিতিতেও নিশ্চিন্ত থাকা যায়। কিন্তু মাঝে মাঝেই ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন নাকচ করে দেয় ব্যাঙ্ক। এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যান এড়ানোর জন্য প্রয়োজন বেশ কিছু নিয়মাবলী অবলম্বন করা। কী সেগুলি? আসুন চোখ রাখা যাক সেই খুঁটিনাটিতে?
ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন করলে তা সাধারণত খুব সহজেই পাওয়া যায়। এবং ন্যায্য হারেই এই লোন মেলে। যদিও ক্রেডিট স্কোর ভালো থাকলে ব্যক্তিগত ঋণের মঞ্জুরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাওয়া যায়। কিন্তু এছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে যা ঋণ প্রত্যাখ্যানের অন্যাতম কারণ হতে পারে।
ব্যক্তিগত ঋণ (personal lone) : কী করবেন আর কী করবেন না
১) ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা হয় ন্যূনতম আয়ের বিষয়টি। এছাড়া, ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ বয়সসীমার এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে ঋণের প্রস্তাবপত্রটি ভালো করে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ে নিয়ে, যা যা চাওয়া হয়েছে তা জোগাড় করে, তারপরেই লোনের জন্য আবেদন জানানো উচিত।
২) প্রত্যেক ঋণগ্রহীতাকে ঋণের আবেদন পত্রের সঙ্গে বেশ কিছু ডকুমেন্ট জমা করতে হয়। এই ডকুমেন্টের চাহিদা বেতনভোগী এবং স্বনির্ভর রোজগেরেদের জন্য আলাদা আলাদা। কোন ক্ষেত্রে কী কী নথি জমা দিতে হবে, তা প্রস্তাবপত্র থেকে ভালো করে দেখে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
৩) ঋণের আবেদন মঞ্জুরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ক্রেডিট স্কোর। শুধুমাত্র ঋণ মঞ্জুরির ক্ষেত্রেই নয়, ঠিক কোন কোন নিয়ম ও শর্তাবলীর আওতায় আবেদনটি মঞ্জুর করা হবে, তাও অনেকাংশে নির্ভর করে ক্রেডিট স্কোরের উপরেই। ক্রেডিট স্কোর ভালো না থাকলে প্রতিকূল হতে পারে লোন মকুব, কখনো কখনো ঋণে সুদের হার থাকতে পারে উচ্চ।
৪) ‘সবকিছু যাচাই করে, ঠিকটা বেছে নাও’, এমন কথা হয়তো অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলেও হতে পারে, কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়ার ব্যাপারে এই পন্থা অবলম্বন না করাই শ্রেয়। যদি কেউ কম সময়ের ব্যবধানে বারবার ব্যক্তিগত ঋণের জন্য ব্যাঙ্কে আবেদন করতে থাকেন, তবে তা কিন্তু প্রত্যাখ্যানের দিকে এগিয়ে দেয়।
৫) এছাড়া, কম ঐ অপর্যাপ্ত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্সের জন্যেও অনেক ক্ষেত্রে লোন রিজেক্ট করে দেওয়া হয়। মাসে ন্যূনতম আয়, আয়ের স্টেবিলিটি ইত্যাদি যাচাই করে লোন আবেদন মঞ্জুর করে ব্যাঙ্ক।