১ লক্ষ আরশোলা, সাপখোপ-কচ্ছপের সঙ্গে সহবাস! গ্রেফতার মহিলা সমাজকর্মী

১ লক্ষ আরশোলা, সাপখোপ-কচ্ছপের সঙ্গে সহবাস! গ্রেফতার মহিলা সমাজকর্মী

নিউ ইয়র্ক:  পশুপাখির শখ বহু মানুষেরই থাকে৷ পোষ্যদের নিয়ে সময় কাটাতে পারলে আর কিছুই চান না তাঁরা৷ তাবলে এভাবে?

আরও পড়ুন- ফের মহামারী দেখবে বিশ্ববাসী, বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে ভয়ঙ্কর দাবি গবেষণায়

অবলাদের প্রতি ভালোবাসা থেকে নিজের বাড়িটাকেই আস্ত চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি৷ কী নেই সেখানে? তবে এভাবে পশুপাখি আটকে রাখার ফল ভালো হল না মোটেও৷ বাড়িতে ১ লক্ষ আরশোলা সহ অসংখ্য পশুপাখি ও পতঙ্গ জমিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কারিন কিজ নামে এক মহিলাকে। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা। বয়স ৫১৷ নিজেকে সমাজকর্মী এবং পশুপ্রেমী হিসাবেই দাবি করেছেন তিনি। 

dog

এক লক্ষ আরশোলা ছাড়াও কারিনের বাড়িতে হানা দিয়ে ৩০০ পশুপাখি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি৷ খবর পেয়ে মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে কারিনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়৷ বিশেষ পোশাক পরে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার করে আনা হয়, ১১৮টি খরগোশ, নানা প্রজাতির দেড়শো পাখি, ৭টি কচ্ছপ, ১৫টি বিড়াল এবং ৩টি সাপ। অভিযোগ, এই সকল পশুপাখি, কীটপতঙ্গদের অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন কারিন। গোটা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলল তাদের মলমূত্র। কারিনের বাড়িতে ঢোকার পর দমবদ্ধ অবস্থা হয় উদ্ধারকারীদের৷ দুর্গন্ধে বেশিক্ষণ সেখানে টিকতেও পারেননি তাঁরা৷ 

dog

জোর করে পশুপাখিদের আটকে রাখার অভিযোগে ইতিমধ্যেই কারিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তাঁর পরিচিতদের কথায়, পশুপাখি, কীটপতঙ্গদের নিয়ে থাকতেই ভালোবাসেন কারিন। তাদের ছেড়ে থাকতে পারেন না। কিন্তু, কোথা থেকে এত পশুপাখি সংগ্রহ করলেন? সেকথাও জানা গিয়েছে পরিচিতদের কথাতেই৷

কারিনের এক পরিচিত জানান, স্থানীয় একটি পশু সংগ্রহশালা বন্ধ হয়ে করে দেওয়া হচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন কারিন। সেখান থেকেই পশুপাখিগুলিকে এনে তোলেন নিজের বাড়িতে৷ কিন্তু পশুপাখিগুলিকে রেখেছিলেন অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন ভাবে৷ 

সাপ

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া পশুপাখিগুলিকে বাঁচানো যাবে। তবে যে পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছিল, সেখানে আর বেশি দিন থাকলে মৃত্যু অবধারিত ছিল। প্রাণীদের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ কারিনের বাড়িতে একেবারেই ছিল না৷  তাঁর বাড়িতে যে এত পশুপাখি রয়েছে, তা পরিচিতরা ছাড়া অন্য কেউ জানত না৷ গত মাসে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে৷ এর পরেই এই অভিযান৷ কারিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পশুপাখিগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পশু চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। তাঁরাই উদ্ধারকৃত আরশোলা, কচ্ছপ, সাপ, খরগোশ, পাখি এবং বিড়ালগুলিকে নিয়ে গিয়েছেন।

 ঘনিষ্ঠ মহলে এই সমাজকর্মী ‘স্নো হোয়াইট’ নামে পরিচিত। বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীরা কারিনকে ওই নামেই ডাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি প্রমাণিত হলে জেল পর্যন্ত হতে পারে৷