কোন্নগর: নৃশংস! ভর সন্ধেবেলা বাড়িতে ঢুকে ৮ বছরের এক শিশুকে কুপিয়ে খুন করা হল৷ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি হুগলির কোন্নগরের। শুক্রবার সন্ধেয় কোন্নগরের কানাইপুর আদর্শনগর ইংলিশ রোড এলাকায় এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে৷ এই ঘটনায় আতঙ্কিত প্রতিবেশীরা৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেয় বাড়িতে একাই ছিল আট বছরের স্নেহাংশু শর্মা। তার বাবা পঙ্কজ শর্মা কলকাতায় একটি বেসরকারি দফতরের কর্মী৷ মা গুড্ডি শর্মা স্থানীয় কসমেটিক্স-এর দোকানে কাজ করেন৷ ফলে বাড়িতে অনেকটা সময় একাই থাকত স্নেহাংশু৷ ঘরে যে জায়গায় ছোট্ট স্নেহাংশুর নিথর রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল, তার পাশে খোলা ছিল বই-খাতা৷ পুলিশের অনুমান, সেই সময় পড়াশোনা করছিল স্নেহাংশু৷ পঙ্কজ বলেন, ইট দিয়ে, ঘরে থাকা গণেশের মূর্তি দিয়ে মাথায় জোড়ে আঘাত করা হয়েছে। ফল কাটার ছুরি দিয়েও কোপানো হয়েছে। টেবিলে মাথা থেতলে ওকে মেরে ফেলা হয়েছে৷ কিন্তু কেন এই খুন?
যে ভ্যানে স্কুলে চেপে স্নেহাংশ স্কুলে যেত, সেই ভ্যানে একজন সিনিয়রের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল ওর। দু’জনের মধ্যে মারামারিও হয়। ওই বিষয়টাকে তখন সে ভাবে গুরুত্ব দেননি পঙ্কজ৷ তবে এখন সেটাই ভাবাচ্ছে৷ খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে ধন্দে পড়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা৷ পঙ্কজ জানতে পেরেছেন, বাড়ির পোষা কুকুরটা সেই সময় খুব চেচাচ্ছিল৷ কিন্তু তাতে কেউ অস্বাভাবিক কিছু দেখেনি৷ ঘরে ফুল ভলিউমে নাকি টিভিও চলছিল৷ পাশের বাড়িতে থাকা স্নেহাংশুর খুড়তুতো বোনই প্রথম স্নেহাংশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৷ তারপরই ছুটে গিয়ে সকলকে খবরটা জানায় সে৷