কলকাতা: করোনা পরিস্থিতিতে আশঙ্কা সত্যি করে বড় ধাক্কা দেশের অর্থনীতিতে৷ ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে ডিজিপি সংকোচন হল ৭.৩ শতাংশ৷ গত ৪ দশকে প্রথমবার এত বড় সংকোচন দেখল দেশ৷ গত অর্থবর্ষের তুলনায় সংকোচন প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা৷
আরও পড়ুন- পরিকল্পিত ভাবে CBI অফিস ঘেরাও, মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না, প্রভাবশালী তত্ত্বে নারদ মামলা সরানোর আর্জি
এর আগেই ৮ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছিল, এই সংকোচন হতে পারে ৭.৫ শতাংশ৷ যদিও চলতি অর্থবর্ষে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত শেষ ত্রৈমাসিক গড় কিছুটা বেড়েছিল৷ অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার ১.৬ শতাংশ বাড়লেও সামগ্রিক অবক্ষয় রোখা যায়নি৷ এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, দুটি কারণের জন্য এই সংকোচন৷ প্রথমত, কোভিডের সরাসরি প্রভাব রয়েছে৷ এছাড়াও কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ এই আশঙ্কার মধ্যে কেউই বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত নন৷ করোনাকালে বিনিয়োগের অভাবে জিডিপি সংকোচন হয়েছে৷ পাশাপাশি জিডিপি গ্রোথও খুব একটা উজ্জ্বল নয়৷ জিডিপি একবার পড়ার পর কোনও একটি কোয়াটারে ৭-৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে সেটা বিশাল ব্যাপার নয়৷ সব মিলিয়ে গোটা ছবিটা একেবারেই উৎসাহ ব্যাঞ্জক নয়৷
করোনার প্রথম ধাক্কার পর আনলক পর্বে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে থাকলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে তা ফের মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ দীর্ঘ দিন ধরে স্তব্ধ বাণিজ্যনগরী৷ পশ্চিমবঙ্গেও চলছে কার্যত লকডাউন৷ ফলে চলতি বছর জিডিপি কতটা বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে সংশয়ে অর্থনীতিবিদরা৷ তবে অনেকে মনে করছেন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১১ শতাংশ বৃদ্ধি সম্ভব৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ জিডিপি’র উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না৷ এদিকে চলতি অর্থবর্ষে ঘাটতি রয়েছে ৯.৩ শতাংশ৷ গতবার যা ছিল ৯.৫ শতাংশ৷ সিএমআই বলছে, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে কর্মহীন ১ কোটির বেশি মানুষ৷