নয়াদিল্লি: পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেই দাম বেড়েছে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্টের মতো নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রীরও। জানা গিয়েছে, এই সব দৈনন্দিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তিন থেকে ৪০ শতাংশ, তাও আবার গত তিন মাসে। সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট ছাড়াও জামাকাপড় কাচার সাবান, চায়ের পাতা, ভোজ্য তেল, কেচ্যাপ, জ্যাম ও বেবি ফুডের মত সামগ্রীর দামও বেড়েছে।
১ জুলাই থেকে দিল্লি ও গুজরাতের সৌরাষ্ট্রে দুধের দাম প্রতি লিটারে ২ টাকা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে আমূল সংস্থা। প্রতি লিটারে ২ টাকা দাম বাড়ানোয় এমআরপিতে চার শতাংশ বৃদ্ধি হবে। যদিও গত দেড় বছর পর আমূল দুধের দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। এখানেই শেষ নয়, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ফ্রিজ ও কুলারের মতো দামও বাড়িতে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দামও বাড়ছে। এর দাম বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ করোনা নামক মারণ ভাইরাস৷ কোভিডের জেরে লকডাউন চলাকালীন দেশে বিভিন্ন কল কারখানা বন্ধ ছিল। ফলে উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। লকডাউনের কারণে কপারের উৎপাদনও বন্ধ ছিল। চাহিদার পাশাপাশি কপারের দামও আগের তুলনায় বেড়ে গিয়েছে। টিভি, ফ্রিজ, এসি-র মতো ইলেকট্রনিক সামগ্রীতে কয়েল থাকে, যাতে কপারের ব্যবহৃত হয়৷ কপারের দাম বাড়ায় এগুলোর মূল্যবৃদ্ধি হতে চলেছে৷
এদিকে, ভোজ্য তেলের দাম কমানোর জন্য অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক পাঁচ শতাংশ কমিয়েছে সরকার। অপরিশোধিত তেলে উপকর ও অতিরিক্ত শুল্ক সহ ৩৭.৭৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে তা ৩০ জুন ৩০.২৫ শতাংশ করা হয়। এই ব্যবস্থা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। ফলে অপরিশোধিত পাম তেলের দাম ২৭০ টাকা ও রিফাইন্ড পাম তেলের দাম প্রতি কুইন্টালে ২৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে সর্ষের তেলের দাম একই রয়েছে।