নয়াদিল্লি: ব্যবসা করার ধরণ নিয়ে এবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে সুইগি, জোম্যাটোর মতো ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলি৷ তাদের ব্যবসার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রেস্তোরাঁ সংগঠন ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া৷
এই অ্যাপগুলি প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে নিয়মটাই ভেঙে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছে তারা৷ এই ‘অ্যান্টি কম্পিটিটিভ প্র্যাকটিস’-কে মোটেই ভালো ভাবে নিচ্ছে না এনআরএআই ৷ কারণ হিসেবে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, এতে হোটেল-রেস্তোরাঁ শিল্পই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে৷ এর জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন সিসিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছে এনআরএআই ৷
এনআরএআইয়ের বক্তব্য, কখনও কখনও খাবারে বিপুল ছাড় আবার কখনও চড়া দামে কমিশন নিচ্ছে ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলি৷ আবার কখনও সারচার্জও অত্যাধিক বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, এটা মোটেই ঠিক নয়৷ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ফুড-ডেলিভারি অ্যাপগুলির স্বচ্ছতার অভাবই প্রকট হয়ে উঠেছে বলে দাবি রেস্তোরাঁ সংগঠনের ৷ এনিয়ে একাধিকবার অ্যাপ-সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনা করেও কোনও লাভ হয়নি৷ যদিও অনেকের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন দীর্ঘ দিন হোটেল-রেস্তোরাঁগুলি বন্ধ ছিল। বর্তমানে সেগুলি খুললেও সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রেস্তোরাঁয় গিয়ে বসে খাওয়াদাওয়া করতে চাইছেন না অধিকাংশ মানুষই। আর এখন মানুষ বাড়িতেই অ্যাপ মারফত পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে আনিয়ে খেতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন৷ তাই লকডাউনে রেস্তোরাঁগুলির ব্যবসা ঠিকে রয়েছে এই ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলির মাধ্যমেই৷ ফলে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হলেই সব পক্ষেরই লাভ হবে বলে মত এনআরএআইয়ের৷
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে এখন সাধারণ মানুষ অনেক বেশি করে সুইগি, জোম্যাটোর মতো ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন ৷ এছাড়া বাড়িতে বসে অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে আনানো গেলে আর খামোখা বাইরে বেরনোর প্রয়োজন হয় না৷ বরং বাড়িতেই আরাম করে খাওয়া যায়৷ এতেই রমরম করে চলছে ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলির ব্যবসা৷