কলকাতা: যে কোনও মানুষের যখন তখনই ঋণ নেওয়া প্রয়োজন পড়তে পারে৷ অনেকেই ঋণের বিষয়ে ঠিকঠাক জানেন না৷ সিকিউরিটি লোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সিকিউরিটি লোনের বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন৷ এক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেক কম। লোন নেওয়া ব্যক্তির হাতেই সিকিউরিটি হিসেবে গচ্ছিত রাখা সম্পদ বিক্রি করে যখন তখন মিটিয়ে ফেলার উপায় থাকে। কী কী সিকিউরিটি লোন নেওয়া যায় এবং তা কী কী শর্তে৷
প্রপার্টি লোন বলা হয়। ব্যক্তির বাসস্থান বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ সময়ের জন্য জমা রেখে লোন নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদে লোন পাোয়া যায়৷ সম্পত্তির পরিমাণের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ অর্থ ঋণ হিসেবে মিলতে পারে। তবে এক্ষেত্রে টাকা হাতে পেতে তিন সপ্তাহ থেকে একমাস সময় লাগতে পারে।
বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড, লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসির মতো ইনভেস্টমেন্টকে সিকিউরিটি হিসেবে জমা রেখে ঋণ নেওয়া যেতে পারে। ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে কত টাকা জমা হয়েছে, তার ওপর৷ এই ধরনের সম্পত্তি জমা রেখে ঋণ নেওয়া সবচেয়ে বেশি সুবিধা হল এটি শোধ না করলেও চলে৷ সেক্ষেত্রে মেচিওরড হলে বাকি টাকা পাওয়া যায়৷ আর ঋণ শোধ করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ইনভেস্টমেন্টের থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ট বোনাস বা সুদ সবটাই অপরিবর্তিত হারে পাওয়া যায়।
হোম লোন থাকা ব্যক্তিরা এবং যাঁদের লোন পেমেন্টর রেকর্ড অত্যন্ত ভালো, তাঁরা টপ আপ লোন নিতে পারেন। অনেকের প্রিঅ্যাপ্রুভড ফেসিলিটি থাকে। আবার কারও এই লোন পেতে ১-২ সপ্তাহ সময় লাগে। হঠাৎ টাকার দরকার হলে, দ্রুত গোল্ড লোন পাওয়া যেতে পারে৷ গোল্ড লোন বা স্বর্ণঋণের ক্ষেত্রে ঋণ শোধ করতে চার থেকে পাঁচ বছর সময় পাওয়া যায়৷ ১৮ ক্যারেট সোনা হলেই গোল্ড লোন পাওয়া যায়। মোট সম্পদের ৭৫% ঋণ নেওয়া যায়৷